Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kali Pujo2023: বালুরঘাটে আকর্ষণ বুড়া কালীর পুজো

Kali Pujo2023: বালুরঘাটে আকর্ষণ বুড়া কালীর পুজো

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Nov 03, 2023 | 4:35 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দীর প্রাচীন ও জাগ্রত কালি পুজোর মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালি মাতার পুজো। এখনও সেই পুরোনো রীতি রেওয়াজ মেনেই হয় বালুরঘাট বুড়া কালি মাতার পুজো।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দীর প্রাচীন ও জাগ্রত কালি পুজোর মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালি মাতার পুজো। এখনও সেই পুরোনো রীতি রেওয়াজ মেনেই হয় বালুরঘাট বুড়া কালি মাতার পুজো। তবে কাল স্রোতে ও সময়ের সঙ্গে বর্তমানে পুজোর কিছু নিময় পরিবর্তিত হয়েছে। শতাব্দীর প্রাচীন হলেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অপরন্তু বিশ্বাস রয়েছে। কালি পুজোর দিন এই পূজাকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পরার মত। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার বুড়া কালিবাড়িতে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পরে ভক্তদের।

লোক মুখে শোনা যায় কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালি মাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইতো। এমনকি লোক মুখে শোনা যায় মন্দির ও বাজারের জায়গায় ছিল ঘন জঙ্গল। শতাব্দীর প্রাচীন পুজো হলেই এই পুজোর সঠিক বয়স কত তা কেউ বলতে পারে না। এক সময় আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালি মাতার বিগ্রহ বা শিলা খন্ড। এক ত্রান্তিক সেই সময় নাকি ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন। তার পর থেকেই নাকি এই পুজো শুরু হয়। টিনের ঘেরা দিয়ে বুড়া কালি মাতার পুজো শুরু হয়। বর্তমানে বিশাল আকার মন্দিরের পুজিত হন বুড়া কালি মাতা। পুজোর দিন মায়ের মূর্তিতে সারা গায়ে সোনা থেকে রূপার অলঙ্কারে সুসজ্জিত থাকে। পুজোকে ঘিরে পুজোর দিন কয়েক হাজার ভক্তগনের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গনে। পুজোতে এখন পাঁঠা বলি, শোল মাছ বলি হয়। তবে জনশ্রুতি আছে আগে নাকি ২০ কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত। এই পুজোকে ঘিরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর নয় পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসে। বর্তমানে বুড়া কালি মন্দির থেকে অনেকটা পশ্চিমে সরে গেছে আত্রেয়ী নদী।

জনশ্রুতি আছে একটা সময় নাকি কলকাতার রানী রাসমনি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। বজরায় করে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী থেকে জল নিয়ে এসে মায়ের পুজো দিয়ে আবার ফিরে যেতেন কলকাতায়। তবে এর সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই মন্দিরকে ঘিরে আরও জনশ্রুতি আছে সন্ধ্যের পর নাকি অপরূপ ফুলের সুগন্ধি পাওয়া যেত এই এলাকা থেকে। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত কোন জঙ্গল বা গাছ পালা ছিল না। শোনা যেত নুপুরের আওয়াজ। সেই সব নাকি এখন গল্প মনে হয় অনেকের। তা সত্ত্বেও জেলাবাসীর অগাধ বিশ্বাস বুড়া কালি মাতার উপর। এখন অত্যন্ত বিশ্বাসের সহিত পুজিত হন মা। পুজোর দিন দর্শনার্থীদের দেওয়া হয় অন্ন ভোগ। এদিকে হাতে আর সময় নেই তাই জোর কদমে চলছে মন্দির পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ।এবিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেন, আত্রেয়ী নদীর পাশে মায়ের শিলা খন্ড ভেসে উঠেছিল৷ তা থেকেই মায়ের পুজো শুরু হয়৷ এখনো পুরনো রীতি মেনেই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর দিন মায়ের গোটা মূর্তিতে সোনার গয়না পড়িয়ে দেওয়া হয়৷ দুবছর লোক আসতে পারেনি পুজোতে৷ এবার ভিড় অনেক বাড়বে। বুড়া মায়ের পুজো বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। চৈত্রসংক্রান্তি ও দীপান্বিতা অমবস্যায়। তবে বড় পুজো হয় দীপান্বিতা অমবস্যায়।এবিষয়ে বুড়া কালি মন্দিরের পুরোহিত রতন ভট্টাচার্য বলেন, আগে যেভাবে মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হত, ঠিক একই ভাবে এখনো মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের কাছে পুজো দিতে আসে৷