
উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। শ্রীপঞ্চমীর দিন অতি প্রত্যুষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়।

বিশেষত শিক্ষার্থীদের জন্যে সরস্বতী পুজো খুবই স্পেশাল। সকাল থেকেই উপোস থেকে বাগদেবীর উদ্দেশ্যে অঞ্জলি দেন তারা। বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞানের প্রার্থনা করেন বাগদেবীর কাছে।

বসন্ত পঞ্চমীর দিন ভক্তরা দেবী সরস্বতীকে বুন্দি লাড্ডু, খিচুরি, বসন্তী রাজভোগের মত কিছু ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি অর্ঘ হিসেবে প্রদান করা হয়। শুভ দিনে ছোট থেকে বড় সকলেই হলুদ রঙের পোষাক পরেন। বসন্ত পঞ্চমী মানেই হলুদ শাড়ি আর হলুদ কুর্তা-পায়জামা সেজে ওঠার দিন।

খিচুড়ি: স্বাস্থ্যকর ও অসাধারণ স্বাদের এই রেসিপিটি বাঙালির এই নস্টালজিক পুজোয় মাস্ট। শুদ্ধ ঘি, চাল, ডাল এবং সবজি দিয়ে তৈরি খিচুড়ি ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়। সঙ্গে ল্যাবড়া, পাঁপড় ভাজা সরস্বতী পুজোর দিন থাকা চাই-ই চাই।

বুন্দি লাড্ডু: ভারত মানেই মিষ্টিমুখের রসদ থাকবেই। ছোট গোলাকার, রসাল হলুদ রঙের মিষ্টিতে ঘি, কেশরের যুগলবন্দিতে তৈরি। বেসন দিয়ে তৈরি হলেও পরে গরম চিনির সিরাপের মধ্যে ডুবিয়ে বাদাম দিয়ে সাজানো হয়।

বেসন চুরমা: শুদ্ধ ঘি, বেসন, চিনি ও কেশর ভারা বেসন চুরমা বাগদেবীর আরাধনার জন্য একটি পারফেক্ট পদ। রাজস্থান থেকে আগত হলেও এখন বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া খুব সহজ।

কেশরি জর্দা: সাধারণত মিঠা চাল। চিনির সিরাপে ও কেশরে রান্না করা মিষ্টি ভাত। পঞ্জাবি এই ডেসার্ট এবার বাড়ির পুজোয় তৈরি করতে পারেন।

কেশরি রাজভোগ: বাঙালির নিজস্ব কমলা রাজভোগ। কেশরের স্বাদের চিনির সিরাপে ডোবানো রসগোল্লার মত স্পঞ্জের মতন নরম মিষ্টি।