TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Feb 20, 2023 | 8:30 AM
করোনাভাইরাস, মারাত্মক দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জেরে শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি এখন ঘরে ঘরে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা এদেশে এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে প্রায় ৩২ শতাংশ দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগে আক্রান্ত। পাশাপাশি অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদী শ্বাসযন্ত্রের ব্যাধি, হাঁপানি, যক্ষ্মাও ক্রমশ বাড়ছে। এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হল বায়ুদূষণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে ও স্বাভাবিক জীবনযাপন কাটাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভাস গ্রহণ করা প্রয়োজন। সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তুলতে বেশ কিছু আয়ুর্বেদ বা ভেষজের প্রয়োজন।
বায়ুদূষণ বর্তমানে একটি গুরুতর সমস্যা। এই দূষণের কারণে স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তার মধ্য়ে চোখে ও ত্বকের জ্বালা, চুলকানি, গলার অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিজনিত জ্বর, দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি থেকেই বোঝা যায়, দূষণের মাত্রা কতটা পরিমাণ বিস্তার করেছে। তবে রোজ যদি এই ৫ ভেষজের উপকার পেতে চান, তাহলে কোন কোন আয়ুর্বেদিক ব্যবহার করবেন, তা জেনে নিন...
তুলসী: সাধারণ ও সহজলোভ্য আয়ুর্বেদিক ভেষজ এটি। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, জিঙ্ক ও ভিটামিন সি, যা স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। মধুর সঙ্গে তুলসী পাতার রস ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি ও সর্দি সারাতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
থাইম: বুকে কফ জমলে বা ব্রঙ্কাইটিসের চিকিত্সার জন্য থাইম ব্যবহার করা হয়। সর্দি বা শ্লেষ্মা গলাতে ও অপসারণ করতেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী, অ্যান্টি-টিউসিভ ও এক্সপেক্টোর্যান্ট রাসায়নিক যেমন থাইমল, কারভাক্রোল ও রোসমারিনিক অ্যাসিড।
লিকোরিস রুট: আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গলা ব্য়থা ও কাশির চিকিত্সার জন্য লিকোরিস রুট চিবিয়ে খেলে উপশম পাবেন। বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা যেমন নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানিতে সাহায্য করে। এই মূলের রসে রয়েছে ট্যানিন যা ফুসফুসের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। শ্বাসযন্ত্রের জ্বালা প্রশমিত করতেও সাহায্য করে।
ইউক্য়ালিপটাস: ঘন ঘন হাঁচি, নাক দিয়ে জলের মতো সর্দি ঝরা, বুকে কফ জমলে বা কাশির চিকিত্সার জন্য এই গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়। এর পাতায় রয়েছে সিনিওল নাম একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ যা যন্ত্রণাকে উপশম করতে, কফের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
পুদিনা: সম্প্রতি গবেষণায় জানা গিয়েছে, পেপারমিন্ট বা পুদিনা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। মেন্থল যা কতকটা পুদিনারই মতো, এতে রয়েছে অ্যান্টিস্প্যাসমোডিক বৈশিষ্ট্য। এর জেরে শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে আটকে থাকা শ্লেষ্মা বা বুকে কফ জমে থাকলে তা তুলতে সাহায্য করে।