ভারতীয় রান্নাঘরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে মশলা। এই সব মশলাগুলোর নিজস্ব বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। বিশেষত, রোজের ডায়েটে যদি দারুচিনি রাখা হয় তাহলে প্রচুর সুবিধা পাওয়া যায়। প্রতিদিন যদি দারুচিনির জল পান করেন তাহলে নানা সুবিধা মেলে।
দারুচিনির মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। শরীরের যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমানো জন্য আপনি দারুচিনির জল পান করতে পারেন। হাঁটুতে ব্যথা, শরীরের যে কোনও ক্ষত কিংবা সামান্য কেটে গেলেও আপনি দারুচিনির সাহায্য নিতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য সকাল-বিকাল কসরত করছেন? ডায়েটে দারুচিনির জল রাখলে দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে। দারুচিনি মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। দারুচিনির জল পান না করলেও আপনি যে কোনও স্মুদিতে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আপনি দারুচিনির জলের সাহায্য নিতে পারেন। দারুচিনির জল পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে দারুচিনির জল। পাশাপাশি দারুচিনির জল প্রিডায়াবেটিস অবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
ঋতুস্রাবের সময় অনেক মহিলাই তলপেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পায়ে ব্যথার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। ন্যাশানাল সেন্টার বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের মতে, মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাব চলাকালীন উপসর্গগুলো প্রশমিত করলে দারুচিনি জল বিশেষ ভূমিকা সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও আপনি দারুচিনি জল পান করতে পারেন। সসপ্যানে ২ কাপ জল ফুটিয়ে নিন। তাতে ১ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এতে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। আপনি চাইলে এতে আদাও মেশাতে পারেন।