Pregnancy: গর্ভাবস্থায় এই মরসুমি ফলগুলি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন! কমবে গর্ভপাতের ঝুঁকিও
Fruits: গর্ভাবস্থায় এমন খাবার খাওয়া দরকার যা শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি করবে এবং ভ্রূণের বিকাশে সাহায্য করবে। ফল নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। কিন্তু তাতেও এমন কিছু ফল রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত নয়।
তরমুজ- গ্রীষ্মকালীন ফল হিসাবে তরমুজ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এই ফল শরীর থেকে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় তরমুজ খেলে অনেক সময় ওই টক্সিন পদার্থগুলি ভ্রূণের সংস্পর্শে আসতে পারে। এতে শিশুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এই ফল না খাওয়াই ভাল।
আনারস- গ্রীষ্ম ঋতুর আরেকটি স্বাস্থ্যকর ফল হল আনারস। কিন্তু গর্ভবতীদের জন্য এই ফল মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। আনারসের মধ্যে ব্রোমেলাইন নামক এনজাইম থাকে, যা জরায়ুতে সংকোচন তৈরি করতে পারে। এর ফলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এই ফল না খাওয়াই ভাল।
পেঁপে- অনেকেই বলেছেন গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত নয়। এটা একদম সত্যি। পেঁপে ভিটামিন ও মিনারেল পরিপূর্ণ হলেও এটি দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে। গর্ভাবস্থায় এমনটা হলে জরায়ু জরায়ুর সংকোচন, রক্তপাত এবং এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
খেজুর- এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে খেজুর স্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু গর্ভাবস্থায় এটিই ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়। গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় যেখান থেকে জরায়ুর সংকোচনের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
কলা- কলা একটি স্বাস্থ্যকর 'স্ন্যাকস' এবং 'সুপারফুড'। কিন্তু অনেক গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সুপারফুডই সহ্য হয় না। কলায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বেশি পরিমাণ কলা খেলে বাড়তে পারে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও।
তেঁতুল- অনেক মহিলাই গর্ভবতী অবস্থায় টক জাতীয় খাবার খেতে ভালবাসেন। কিন্তু এই অবস্থায় তেঁতুল খেলে মর্নিং সিকনেসের উপসর্গগুলি বেড়ে যেতে পারে। বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার মত লক্ষণগুলো বেড়ে যেতে পারে।