Artist Villages: লোকশিল্পের আঁতুড়ঘর! দেশেই রয়েছে সাতটি বিখ্যাত শিল্পগ্রাম, দেখুন ছবিতে
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Jan 18, 2022 | 10:02 PM
অধিকাংশ পর্যটক প্রকৃতির টানে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ান। ব্যাকপ্যাক নিয়ে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের টানে কতজন বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান, তার সংখ্যা নেহাতই কম। তবে লোকসংস্কৃতি বরাবরই দেশের মানুষকে মুদ্ধ করে। শুধু দেশকেই নয়, বিদেশের বাজারে লোকসংস্কৃতি ও লোকশিল্পের যে কদর, তা ভোলার নয়।
1 / 8
লোকশিল্প আসলে দেশের একটি ইতিহাসের পাঠ। এখানে গেলে আপনি কোনও লজ বা হোটেল খুঁজে পাবেন না। শুধু পাবেন সংস্কৃতির গভীরতা। এক অন্য অভিজ্ঞতা।
2 / 8
আন্দ্রেটা- নোরা রিচার্ড নামে এক আইরিশ মহিলা প্রথম হিমাচল প্রদেশের আন্দ্রেটায় বসবাস শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী গ্রামগুলির মধ্যে একটি করার পিছনে তাঁর অবদান অপরিহার্য। এখানেই বাস করতেন দেশের বিখ্যাত মৃত্শিল্পী গুরুচরণ সিং। দিল্লি থেকে পালামপুরের বাসে গেলেই পৌঁছে যাবেন এই সুন্দর ও শান্তিময় গ্রামে।
3 / 8
চোলমন্ডল গ্রাম- চেন্নাইয়ের এই গ্রামটিতে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের বৃহত্তম স্ব-সমর্থক শিল্পী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এশিয়ার অন্যতম সফল শিল্প গ্রাম এটি। গ্রামের প্রতিটি শিল্প, স্থাপনা, সবটাই স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা নির্মিত। রান্নাঘরের দেওয়াল থেকে শিল্পীদের আর্ট গ্য়ালারি পর্যন্ত। এই গ্রামের অধিকাংশ শিল্পীই ভাস্কর। চেন্নাই থেকে ১৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রামে বাস বা ট্রেনে করে গেলেই পৌঁছে যাবেন।
4 / 8
সাপুতারা- সাপুতারা হল গুজরাতের ডাং জেলার একটি হিল স্টেশন। এই গ্রামে কারুশিল্পে মুগ্ধ হয়ে চিত্রাঙ্কন ও কারুশিল্পে শেখার ট্রেনিংও নিতে পারেন। ওয়ার্লি পেইন্টিং চেষ্টা কর দেখতে পারেন। উপজাতির নানান নিদর্শন এই গ্রামের শিল্পে আপনি লক্ষ করতে পারবেন। গুজরাতের এই শিল্প গ্রামে যেতে হলে সেরা পথ হল রাস্তা বা রেলপথ। বিলিমোরা থেকে সরাসরি বাস সার্ভিস পাওয়া যায়।
5 / 8
বিষ্ণুপুর- বিখ্যাত টেরাকোটার মন্দিরগুলির জন্য পশ্চিমবঙ্গের এই এলাকাটি দারুণ জনপ্রিয়। ঐতিহ্যবাহী পোড়ামাটির কারুকাজের জন্য এই গ্রাম বিশ্ববিখ্যাত। পোড়ামাটির ঘোড়াগুলিকে বাঁকুড়ার ঘোড়া বলা হয়। এছাড়া হাতে বোনা সিল্ক বালুচরী শাড়ি উত্টপাদনের জন্যও পরিচিত। হাওড়া থেকে বিষ্ণুপুর পর্যন্ত একটি সরাসরি ট্রেন রয়েছে। এছাড়া সরাসরি বাসেও যেতে পারেন।
6 / 8
হোদকা- গুজরাতের এই ছোট্ট শিল্পগ্রামে সুন্দর সেলাই ও চামড়ার কাজ করা হয়। শুধু টেক্সটাইলেই নয়, বাড়ির দেওয়ালেও রঙিন শিল্প নিদর্শন দেখতে পাবেন। কচ্ছে অবস্থিত এই গ্রামটিতে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতার আকর্ষণও। আহমেদাবাদ থেকে হোদকা যেতে গেলে ট্রেন বা বাসে যেতে পারেন।
7 / 8
রঘুরাজপুর- এই গ্রামে পথে-ঘাটেই রয়েছে ছন্দ, কবিতা, পটচিত্র। রয়েছে নিজস্ব নৃত্যদলও। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির অন্দরে রয়েছে লোকশিল্পের অপার সম্ভার। ঐতিহ্যের গ্রামের শিল্পীরা শুধু জীবিকা নির্বাহের জন্যই নয়, এঁদের রক্তেই মিশে রয়েছে এক অনন্য শিল্পের ধারা। এঁদের আতিথেয়তা ও ব্যবহার যেমন মিষ্ট তেমনি কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও পরিশ্রমও চোখে পড়বে। ওড়িশার পুরী থেকে রঘুরাজপুর পর্যন্ত নিয়মিত বাস যায়। শিল্প গ্রামের শিকড় পর্যন্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে ঘুরতে হবে।
8 / 8
পোচম্পালি- দেশের সবচেয়ে প্রাচীন তাঁত কেন্দ্র । বলা যেতে পারেন তেলেঙ্গনার এই এলাকায় তাঁতিদের আবাস্থল । এই এলাকায় ইক্কতের শিল্পের জন্য সমৃদ্ধ। গামছা থেকে শাড়ির বুননের জন্য গ্রামটিতে পর্যটকরা একবার ঢুঁ মেরে আসেন। হায়দরাবাদ থেকে একদিনের ট্রিপ হিসেবে এখানে যাতে পারেন। রেল ও সড়কপথে এই গ্রামে পৌঁছানো যাবে। তবে থাকার তেমন ব্যবস্থা এখানে নেই।