
তামিল নাড়ু—এই খিচুড়ির নাম পোঙ্গাল। ডাল, চাল ও খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি। মিষ্টি কিংবা নোনতা, দুই স্বাদেই চেখে দেখতে পারেন।

অন্ধ্রপ্রদেশ—খিচুড়ি নিরামিষ জাতীয় খাবার। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের নিজামরা এতে যোগ করেছিলেন আমিষ। অনেকটা বিরিয়ানির মতো খেতে। এই খিচুড়িতে থাকে কিমা। একটু টকস্বাদের হয় অন্ধ্রর কিমা খিচুড়ি।

গুজরাট—আহমেদাবাদ শহরের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আহমেদ শাহ প্রথম এক বিশেষ ধরনের খিচুড়ি খেতে খুব ভালবাসতেন। প্রতিদিন তিনি সেই খিচুড়ি খেতেন। একটু মিষ্টিস্বাদের এই খিচুড়িতে সবজি থাকতে পারে, নাও থাকতে পারে।

কর্ণাটক—এই খিচুড়ির একটি বিশেষ নাম আছে - 'বিশি বেলে ভাত'। তুর ডাল দিয়ে তৈরি হয়। ৩০টি মশলার মিশেলে তৈরি। অসাধারণ স্বাদের সঙ্গে মেলে সৌরভ। প্রচুর সবজি দিয়ে তৈরি হয় বিশি বেলে ভাত।

বিহার—বিহারের রীতি অনুযায়ী অনেকেই শনিবার খিচুড়ি খান। মকর সংক্রান্তির সময় রাজ্যে খিচুড়ি রান্না করা প্রথা। পুজোয় প্রসাদ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। চাল, আদা, লঙ্কা, মুগ ডাল, উরাদ ডাল এর প্রধান উপকরণ।

পশ্চিমবঙ্গ—চাল, ডাল, আদা, দেশি ঘি - বাংলার খিচুড়ি এতেই চমৎকার। বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও পুজোতে ঈশ্বরকে নিবেদন করা হয়। রসুন-পিঁয়াজ দেওয়া হয় না। অনেকেই সবজি দিয়ে খেতে ভালবাসেন।

রাজস্থান—রাজস্থান এমন এক রাজ্য যেখানে চাল দিয়ে খিচুরি তৈরি করা হয় না। পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় বাজরা। টক দই, রসুন, চটনি সহযোগে খাওয়ার নিয়ম। অনেকেই উপরে ড্রাই ফ্রুট ছড়িয়ে দেন।