Uric Acid: শরীরে বেড়ে গেছে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা? আয়ুর্বেদে রয়েছে এরও উপায়
Ayurvedic Tips: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের তথ্য অনুসারে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর জন্য ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কী-কী করা দরকার, দেখে নিন এক নজরে…
ইউরিক অ্য়াসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে যে শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ গোল গাঁটে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, প্রদাহ বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই রোগের চিকিৎসার কথা উল্লেখ রয়েছে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের তথ্য অনুসারে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর জন্য ও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কী-কী করা দরকার, সেগুলি জেনে নিন…
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ হল গিলয় বা গুরুচি। যদি শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, ক্রমাগত গাঁটের ব্যথায় ভোগেন তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস করে গুলঞ্চের রস পান করতে পারেন।
কিশমিশ খেলে হাড়ের ঘনত্ব ঠিক থাকে এবং গাঁটের ব্যথা ও প্রদাহ হ্রাস পায়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ১০-১৫টা ভেজানো কিশমিশ খান। এর জন্য আগের রাতে কিশমিশগুলো জলে ভিজিয়ে রাখুন।
হলুদ অ্য়ান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। হলুদের পেস্ট ব্যবহার করলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস পায়। জয়েন্টের ব্যাথা ও প্রদাহ কমাতে সেইসব স্থানেই ইউরিক হলুদের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
নিম হল প্রকৃতির এক অলৌকিক আর্শীবাদ, যা বহু রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা গাঁটের যন্ত্রণা নিম পাতার পেস্ট লাগাতে পারেন। এছাড়া নিমের তেল দিয়ে মালিশ করতে পারেন। এটি ব্যাথা ও যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
অন্যতম জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক ভেষজ হল ত্রিফলা। ত্রিফলা শব্দের অর্থ হল তিনটে ফলের সংমিশ্রণ। বিভিতকী, আমলা ও হরিতকী। ত্রিফলা তার প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত যা বাতের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্য়থা কমাতে দারুণ কাজ করে।