Hibiscus Powder: শুধু ডায়াবেটিস নয়, স্ট্রোক-কোলেস্টেরল-ক্যানসার তাড়াতেও এক চামচ করে খান জবা ফুলের গুঁড়ো!
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Aug 10, 2022 | 9:14 PM
Benefits Of Hibiscus Powder: উষ্ণ বায়ুমণ্ডলীয় এলাকার গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ জবা। এই গাছের ফুল হয় উজ্জ্বল বর্ণের। লাল, গোলাপি, হলুদ, সাদা নানা বর্ণের জবা ফুল দেখা যায়। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই গাছের দেখা মেলে।
1 / 13
আয়ুর্বেদে নানা রোগের প্রতিকারে জবা ফুলের গুঁড়ো ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আসলে, জবা ফুলে রয়েছে বিবিধ খনিজ এবং ভিটামিন। এছাড়া বিবিধ ভেষজ উপাদানও বর্তমান। পর্যাপ্ত মাত্রায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো খনিজের সঙ্গে আছে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন। এছাড়া আছে অ্যান্থোসায়ানিন নামে যৌগ। আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ফেনোলিক অ্যাসিড নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
2 / 13
উল্লেখ্য, ভিটামিন সি নিজেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানটি আমাদের শরীরে ফ্রি র্যা ডিকেলস ধ্বংস করে। কোষের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ হল ফ্রি র্যা ডিকেলস। শরীরে ফ্রি র্যা ডিকেলস-এর মাত্রা বাড়লে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়।
3 / 13
এছাড়া হার্টের অসুখ, স্ট্রোক, কোলেস্টেরল, ক্যান্সারের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। জবা ফুলের গুঁড়ো নানা ভাবে সেবন করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
4 / 13
কীভাবে তৈরি করবেন জবাফুলের পাউডার? কয়েকটি ফুল নিন। বৃন্ত বাদ দিন। লম্বা শিষ বাদ দিন। শুধু পাপড়ি রোদে শুকিয়ে নিন। এবার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে একটি জারে রেখে দিন। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করুন।
5 / 13
অ্যান্টিটিউমার : জবার প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ফলে যে কোনও ধরনের ক্যান্সারযুক্ত টিউমার তৈরি হওয়া আটকায় জবা ফুলের গুঁড়ো।
6 / 13
হজম ক্ষমতা : হিবিসকাস সামান্য ডাইইউরেটিক অর্থাৎ রেচনকার্যের মাধ্যমে শরীর থেকে নুন ও জল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই কারণে মলে জলের মাত্রাও বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া অন্ত্রের আকুঞ্চন ও প্রসারণেও সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এভাবে পরিপাকতন্ত্রের কাজে উন্নতি ঘটিয়ে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে করে।
7 / 13
ত্বকের জন্য উপকারী: ত্বকের উন্নতির জন্য জবা ফুলের পাউডার নানাভাবে ব্যবহার করা যায়— অ্যান্টি এজিং: জবা ফুলের গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ফলে সুস্থ কোষের ধ্বংস আটকায়। ত্বক থাকে টানটান। এক্সফোলিয়েট: ত্বকে দ্রুত নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে পুরনো ও মৃত কোষ সরিয়ে ত্বক করে তোলে উজ্জ্বল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: জবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি থাকার জন্য ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে ব্রণ প্রতিরোধ করতে পারে সহজেই।
8 / 13
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জবার ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই অবগত। জবা ফুলের পাউডারও চুলের শ্রী বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। চুল পড়া: গোড়া শক্ত করে। চুল ঝরা আটকায়। চুলের শ্রী ফেরায়: অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে। খুশকি: অনেকেই নাছোড়বান্দা খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এমন সমস্যায় জবাফুলের গুঁড়ো অত্যন্ত উপকারী।
9 / 13
হাইপোগ্লাসেমিক এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান: হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হাইপোগ্লাসেমিক এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান। এই দু’টি উপাদানের কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে না। এর ফলে রক্তবাহী নালীতে প্লাক জমতে পারে না। রক্ত সঞ্চালনে কোনও সমস্যা হয় না। হার্ট থাকে সুস্থ। স্ট্রোকও প্রতিরোধ করা যায়।
10 / 13
রক্তাল্পতা দূর করে: জবা ফুলের গুঁড়োয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অ্যানিমিয়াও দূর করে। শরীরে হর্মোনের ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে জবাফুলের গুঁড়ো। ফলে মেনস্ট্রুয়েশনের সময় বেদনা কমে। এছাড়া মেজাজেরও উন্নতি ঘটায়।
11 / 13
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান: ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধ করা যায় জবা ফুলের গুঁড়োর সাহায্যে। ডাইইউরেটিক হওয়ার কারণে শরীর থেকে মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতে পারে জবার গুঁড়ো। ফলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে।
12 / 13
কীভাবে খাবেন জবা পাউডার : প্রাপ্তবয়স্ক লোক প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত জবা পাউডার সেবন করতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট রোগের জন্য জবা পাউডার সেবন করতে হলে অবশ্যই আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
13 / 13
কখন খাবেন? খাবার খাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে জলে মিশিয়ে জবাগুঁড়ো সেবন করাই ভালো। চাইলে জবা পাউডারের চা তৈরি করেও খাওয়া যায়।