Blood Pressure: ওষুধ না খেয়েও কমাতে পারবেন রক্তচাপ! কীভাবে? জানুন
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক এবং এটি আপনার হৃদযন্ত্র, কিডনি এবং মস্তিষ্ককে ধীরে ধীরে প্রভাবিত করে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে আপনার প্রতিদিন ব্যায়াম এবং যোগাসন করতে হবে। এর সঙ্গে একমাত্র খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন এনে আপনি উচ্চ রক্তচাপকে কমাতে পারেন। তাহলে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কী কী খাবেন দেখে নিন এক নজরে...
সবজি হিসাবে আপনি ব্রকোলি এবং বেলপেপারের মত খাবারগুলো খেতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত এই খাবারগুলি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে একাধিক রোগের হাত থেকে রেহাই দেয়।
হার্ট-এ ২০১৭-এর একটি গবেষণা অনুসারে, ফ্ল্যাভোনল-সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ডার্ক চকোলেটের ফ্ল্যাভোনলগুলি স্বাস্থ্যকর রক্তনালী ফাংশনকে উন্নীত করতে সহায়তা করে।
পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু রক্তচাপ-হ্রাসকারী ডায়েট অনুসরণ করার একটি অপরিহার্য অংশ। মিষ্টি আলুতে ফাইবারও বেশি থাকে যা আপনার হৃদয়ের জন্যও ভাল।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (এনআইএইচ) এর মতে, রসুনের যৌগিক অ্যালিসিন রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করতে পারে। তবে রসুন খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।
বেশির ভাগ সবুজ শাক সবজি শরীরের জন্য খুব ভাল ফল প্রদান করে। সবুজ শাক- সবজিগুলি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি একাধিক রোগকে প্রতিরোধ করে।
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্যগুলি ক্যালসিয়ামের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা উচ্চ রক্তচাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। কম চর্বিযুক্ত দইয়ের একটি ১২ আউন্স আপনাকে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়ামের প্রায় 30 শতাংশ প্রদান করে।
উচ্চ ফাইবার পুরো শস্য, বিশেষ করে ওটমিল, কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি হ্রাস করার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে দিনে মাত্র তিনটি পুরো শস্য খেলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ হ্রাস করতে পারে। প্রাতঃরাশের জন্য ওটমিল দিয়ে দিন শুরু করার একটি দুর্দান্ত উপায়। লাঞ্চে পুরো গমের রুটি এবং ডিনারে কুইনোয়া, বার্লি বা ব্রাউন রাইস যোগ করুন।
ফল হিসাবে আপনি কিউই, বেরি, অ্যাভোকাডো, কলা, পিচ, পেস্তা ইত্যাদি খেতে পারেন। এই সব ফলগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন সি এবং অন্যান্য মিনারেল পাওয়া যায় এগুলোর মধ্যে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েলে ক্যালোরি বেশি হতে পারে, তবে এর অনেকগুলি স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। পলিফেনল-সমৃদ্ধ জলপাই তেল ব্যবহার করালে রক্তচাপ হ্রাস পায়- বিশেষত মহিলাদের মধ্যে। রান্না করার সময় অলিভ অয়েলকে আপনার গো-টু-অয়েল তৈরি করুন।