গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, হিন্দু চন্দ্র-সৌর ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসে চৈত্র নবরাত্রি পড়ে, যাকে বলা হয় চৈত্র। নয়দিনের এই উত্সব আগামী ২ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত পালিত হবে। এই ৯ দিন উপবাসের ভক্তরা কী কী খাবেন,তার একটি লিস্ট দেওয়া হল।
চৈত্র নবরাত্রির নয়টি দিন দেবী দুর্গার নয়টি অবতারের পূজার জন্য উৎসর্গ করা হয়। অনেকে প্রথম ও শেষ দিন বা সব নয় দিন উপবাসও পালন করেন। সাত্ত্বিক ডায়েট অনুসরণ করাই নিয়ম। তার মানে হলে রান্নায় পেঁয়াজ, রসুন, ডিম, মাংসের কোনও ছোঁয়া থাকবে না। অ্যালকোহলও গ্রহণ করা নিষিদ্ধ।
আবহাওয়া পরিবর্তন ও উপবাসে যাতে হজম সহজে হয়ে যায় , তেমন খাবার খাওয়া উচিত। চৈত্র নবরাত্রির জন্য ব্রত পালনের সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় যে খাবার প্রচলিত, সেগুলি কী কী,দেখুন এখানে...
ব্রতওয়ালে আলু- আলু ও টমেটোর একটি অসাধারণ রান্না। তবে এতে নুনের বদলে দেওয়া হয় হালকা মশলা ও রক সল্ট।
কুট্ট কি পুরি- কুট্টু আটা দিয়ে তৈরি নবরাত্রির বিখ্যাত রুটি। ময়দার পরিবর্তে এই বিশে। আটা দিয়ে তৈরি পুরি খাওয়া হয় এই সময়। বাদামের স্বাদ পাওয়া যায় এতে। ব্রতওয়ালে আলুর সঙ্গে সবচেয়ে ভাল যায়।
সাবুদানার খিচড়ি- সুস্বাদু এই খিচড়িটি তৈরি করতে চালের বদলে সাবুদানা ব্যবহার করা হয়। চিনাবাদাম যোগ করলে এই খিচুড়ির স্বাদ দ্বিগুণ যেমন হয়, তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে।
সমক ধোসা- এই কম ক্যালোরির ধোসাটি ব্রত পালনের সময় স্পেশাল হিসেবে রান্না করা হয়। যাঁরা উপবাস করেন তাঁর সমক চাল ও সিঙ্গারে কা আটা দিয়ে ধোসা তৈরি করেন। এর সঙ্গে হালকা অথচ সুস্বাদু আলুর তরকারির স্টাফিং দেওয়া থাকে।
মাখনে কি ক্ষীর- গোবিন্দভোগ চাল নয়, মাখলে দিয়ে তৈরি ক্ষীর বানানো হয় এই সময়। মিষ্টি ও শুকনো এই ফল ঘন ও ভরা দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। যাঁরা উপবাস করেন তাঁদের কাছে এই ক্ষীর যেমন অমৃত, তেমন যাঁরা উপবাস করেন না তাঁদের কাছেও বেশ জনপ্রিয়।