Indo-Chinese War: সব দিক দিয়ে ভারতকে ঘিরতে চাইছে চিন, শুরু করেছে ‘স্ট্রিং অব পার্লস’
Indo-Chinese War: প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে চারদিক থেকে ভারতকে ঘিরে ফেলতে চাইছে চিন। সেই কারণে বিভিন্ন দেশে নিজেদের নৌঘাঁটি তৈরি করছে। চিন ভারতের চারপাশে একটি বৃত্ত তৈরি করছে যাকে 'স্ট্রিং অব পার্লস' বলে।
1 / 9
এখনও জল থেকে উঠে দাঁড়াতে পারেনি ভারতের পড়শি দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা, আর তার মধ্যেই চিনের সঙ্গে ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করেছে। এখনও এটাই সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ বলা যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বন্দর শহর হাম্বানটোটায় একটি তেল শোধনাগার তৈরি করবে চিন।
2 / 9
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুয়ার কুমার দিসানায়েকের চিন সফরের সময় এই চুক্তি হয়। হাম্বানটোটা হল সেই জায়গা যেখানে চিন আগেও একটি বন্দর তৈরি করেছিল। পরে ঋণ শোধ করতে না পারায় ৯৯ বছরের ইজারা নিয়েছে। এখন এই বন্দর ভারতের কাছে একটি কৌশলগত অবস্থানে পরিণত করেছে চিন। নতুন করে আবার এই তেল শোধনাগার তৈরি করা, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগতভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার চাল হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হাম্বানটোটা বন্দর? চিন তেল শোধনাগার তৈরি করলে সমস্যাটাই বা কোথায়?
3 / 9
হাম্বানটোটা কৌশলগতভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? হাম্বানটোটা ভারত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটের কাছাকাছি অবস্থিত। বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরগুলোর মধ্যে এটি একটি। ১৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত হাম্বানটোটা বন্দর তৈরি করতে চিনের থেকে থেকে ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
4 / 9
কিন্তু ঋণ পরিশোধে করতে না পারায় ৯৯ বছরের জন্য তা লিজে দিয়ে দিতে হয়েছে চিনকে। এখন সেই বন্দরের কতৃত্ব চিনের কাছে। এখানেই অত্যাধুনিক তেল শোধনাগার নির্মাণ করবে চিন, যার উৎপাদন ক্ষমতা হবে দৈনিক ২০০,০০০ ব্যারেল, যা সম্পূর্ণ রপ্তানির জন্যই।
5 / 9
ভারতের জন্য কেন চিন্তা? হাম্বানটোটা বন্দর, এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে প্রধান সমুদ্র পথের কাছাকাছি অবস্থিত। এই বন্দরকে অধিকৃত করার পরে সেটিকে নিজের সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে পারে চিন, এমন আশঙ্কা ছিল ভারত এবং আমেরিকার। যদিও অফিশিয়ালি চিন এবং শ্রীলঙ্কা সামরিক উদ্দেশ্যে বন্দরকে ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তা কতটা বাস্তব তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
6 / 9
২০২২ সালে, চিনা সামরিক সমীক্ষা জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করেছিল, যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছিল দিল্লির। যদিও চিন বিষয়টিকে সামুদ্রিক গবেষণার কাজের জন্য আনা হয়েছে বলে দাবি কর তবে ওই জাহাজ দু'রকম কাজেই ব্যবহার করা সম্ভব।
7 / 9
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, এই বন্দরে চিন কেবল তেল শোধনাগার করবে তা মেনে নেওয়া একটু কঠিন। চিনের আন্তর্জাতিক কৌশলের অংশ হতে পারে। ঋণের ফাঁদে ছোট দেশগুলিকে ফেলে নিজের কৌশলগত অবস্থান বাড়িয়ে নেয় চিন। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় সীমার আশেপাশে নিজের প্রভাব বাড়ানোর একটি কৌশল এটি। কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত ও সামরিক দিক থেকেও ভারতের জন্য এটি উদ্বেগের বিষয়।
8 / 9
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে চারদিক থেকে ভারতকে ঘিরে ফেলতে চাইছে চিন। সেই কারণে বিভিন্ন দেশে নিজেদের নৌঘাঁটি তৈরি করছে। চিন ভারতের চারপাশে একটি বৃত্ত তৈরি করছে যাকে 'স্ট্রিং অব পার্লস' বলে। 'স্ট্রিং অব পার্লসে'র মাধ্যমেই চিন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর সহ আরও নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নে, পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর, মায়ানমারের কিউকপিউ বন্দর তৈরি করতেও অর্থ সাহায্য করেছে।
9 / 9
এত কিছু দেখে চুপ করে বসে নেই ভারতও। পাল্টা 'নেকলেস অব ডায়মন্ড' কৌশল অবলম্বন করেছে নয়াদিল্লি। ইরাক, মায়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলিকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার মাধ্যমে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে ভারত। যদিও এই তালিকায় একটা সময় বাংলাদেশ ছিল, তবে পদ্মাপাড়ে পালাবদলের পর সেই জায়গায় তীব্র অনশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। যার ফলে ঘনাচ্ছে চিন্তার মেঘ। (সব ছবি - Getty Images and PTI)