
শরীর থেকে যাবতীয় দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে তরতাজা রাখার কাজ করে কিডনি। তাই কিডনি বিকল হলে কোনও অঙ্গই তখন ঠিকমতো কাজ করে উঠতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলি এতটাই মৃদু হয় যে, সহজে ধরা পড়ে না। তাই এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে আগেই সচেতন থাকা জরুরি।

শরীর প্রায়শই ক্লান্ত লাগা, দুর্বল বোধ হওয়া- এসব কিডনির সমস্যায় বেশি দেখা যায়। কিডনির সমস্যা গুরুতর হলে সামান্য হাঁটাচলাতেও ক্লান্ত লাগে। খাবার খাওয়ার প্রতি অরুচি তৈরি হয়।

সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের দিনের মধ্যে ৬-১০ বার প্রস্রাব পায়। এর থেকে যদি কম বা বেশিবার প্রস্রাবে যেতে হয় তাহলে তা কিডনির সমস্যারই ইঙ্গিত দেয়। বেশি বা কম প্রস্রাব কোনওটাই শরীরের জন্য ভাল নয়। এছাড়াও অনেকের প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসে, প্রস্রাবের রং পরিবর্তন- এসবও কিডনির সমস্যার উপসর্গ হতে পারে।

কিডনির সমস্যায় থাকলে তার পায়ের পাতায় প্রতিফলিত হয়। মূলত পা ফুলে যায়। এটি ঘটে সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার কারণে। এর কারণে পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়।

শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমা হলে ত্বকও শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকে নানা রকম অ্যালার্জি, চুলকানির সমস্যা আসে। এছাড়াও ঘাম হলে তাতে দুর্গন্ধ বেশি থাকে। শরীর থেকেও মাঝেমধ্যে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। পাযের পাতায় ঘাম বেশি হয়। এসব মূলত কিডনির রোগের লক্ষণ।

অনিদ্রাও কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এখান থেকে অনিদ্রার সমস্যায়ও তৈরি হয়। হঠাৎ করেই ওজন কমতে থাকা, খিদে কমে যাওয়া, বমি-বমি ভাবও কিডনির সমস্যার লক্ষণ।