হিন্দু ধর্মে পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পুজো করার রয়েছে অনেক নিয়ম, যেগুলি মেনে চলা অত্য়ন্ত জরুরি। পুজোর সময় দেবদেবীকে তুষ্ট করতে সুগন্ধি ফুল, প্রিয় ফুলগুলিই নিবেদন করা হয়। রীতি মেন তাজা ফুলই ঠাকুরকে নিবেদন করা নিয়ম।
কিন্তু, কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই ফুলগুলি শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাকপর দেওয়া এই ফুলগুলি কী কাজে লাগতে পারে? আসলে ভগবানকে নিবেদন করা এই ফুলগুলো যখন শুকিয়ে যায় তখন অনেকেই সেগুলো ফেলে দেয় কিন্তু এটা করা উচিত নয়।
শুকিয়ে যাওয়া ফুলগুলির মাধ্যমে বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করবে। ফুল বা গলার মালা শুকিয়ে যাওয়ার পরে, সেগুলি ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে, কীভাবে আবার ব্যবহার করবেন তা জেনে নিন এখানে...
যদি বাগানে নানা ফুলগাছ, বাহারি গাছের পরিচর্চা করতে পছন্দ করেন তাহলে এই প্রতিকার মেনে চলতে পারেন। অনেকেই বাড়িতে ফুল বা শাকসবজির চাষ করেন, সেগুলির সার হিসেবে এই শুকনো ফুলগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
পুজোর সময় দেওয়া ফুলগুলিকে কম্পোস্ট করে পাত্রে রাখতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন, ঠাকুরকে দেওয়া শুকনো ফুলগুলি শুধুমাত্র আপনার বাগানকে সুন্দর করে তোলে, তাই নয়, সৌভাগ্যও বৃদ্ধি পায়।
খেয়াল রাখবেন, ভগবান বিষ্ণু ও দে লক্ষ্মীকে অর্পণ করা ফুল লাল কাপড়ে বেঁধে রাখলে আর্থিক সমস্যা দূর হয়, অর্থের অভাব হয় না। সংসারে ভরে ওঠে ধনসম্পত্তি, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে সাফল্যের ঝড়।
মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় ঠাকুরের ফুল হিসেবে নিজের কাছে রেখে দেন অনেকে। আবার নিজের আলমারিতেও রেখে দেন অনেকে। ঠাকুরের আশীর্বাদ হিসেবে সেই ফুল শুকিয়ে গেলে ফুলগুলি ফেলে দেবেন না। একটি লাল রঙের কাপড়ের মধ্যে বেঁধে ঘরের সুরক্ষিত জায়গায় রেখে দিতে পারেন।
মনে করা হয়, এই প্রতিকার মেনে চললে ঘরে দেবদেবীর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। ঘরে প্রবেশ করে শুভ ও পজিটিভ শক্তি। তাই অনেকে ঠাকুরের পুজোর থালিতে লাল গোলাপ বা গাঁদা ফুল নিবেদন করে থাকেন।
হিন্দুশাস্ত্র মতে, গাঁদা বা গোলাপ পুল শুকিয়ে গেলে সেগুলি প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। খাবারের উপযুক্ত করে তবেই গ্রহণ করুন। তাতে স্বাস্থ্য়ের উন্নতি হয়। সৌভাগ্য় বৃদ্ধি হতে পারে সঙ্গে সঙ্গেই।