
সনাতন হিন্দু ধর্মে, প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যের সময় ঈশ্বরের উপাসনা করার প্রথা রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। মন্দিরে মন্দিরে সকাল ও সন্ধ্যের সময় রীতি মেনে নৈবেদ্য সাজিয়ে, পুজো করার রীতি রয়েছে। মনে করা হয়, তাতে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বজায় থাকে, সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।

নিত্য আরাধনা করার সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা হয়। সেই নিয়মগুলি মেনে চলা সকলের জন্য খুবই জরুরি। এই নিয়মগুলি না মানলে পাপ হয় বলে ধরে নেওয়া হয়। পুজোর সময় নিয়ম না মানলে তা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষ ও শাস্ত্রেও তা উল্লেখ করা রয়েছে।

পুজোর সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পুজো করার আগে প্রথমে দেবতার স্থান পরিষ্কার করা উচিত। এর জন্য মাথায় রাখতে হবে যে, প্রথমে বাড়ির ঠাকুরঘরের নির্দিষ্ট জায়গায় ভগবানকে স্থাপন করুন। গোটা মন্দির পরিষ্কার জল দিয়ে পরিষ্কার করুন।

পুরনো ও শুকনো ফুলগুলি সরিয়ে, ঈশ্বরকে স্নান করিয়ে ফের ঈশ্বরের স্থানে রেখে দিন। তারপর ঠাকুরঘর নতুন ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখুন। ঈশ্বরের আরাধনার জন্য ব্যবহৃত বাসনপত্র পরিষ্কার করে রেখে দিন।

মনে রাখবেন, প্রতিদিন পুজো করতে হবে শুধু আসনে বসেই। আসন ছাড়া পুজো করা শুরু করবেন না। শাস্ত্রেও উল্লেখ রয়েছে, উপাসনার সময় বসে বা দাঁড়ানো একেবারেই উচিত নয়। শাস্ত্রে এও বলা হয়েছে যে আসন দেবত্ব প্রদান করে।

যখন পুজো করবেন, তখন খেয়াল রাখতে হবে যে আরাধনার সময় অবশ্যই মন্ত্র উচ্চারণ করা উচিত। কথিত আছে, নিয়মিত মন্ত্র জপ করলে উপকারো মেলে।

একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, যে মন্ত্রগুলির উচ্চারণ একেবারে সঠিক হওয়া উচিত। মন্ত্রগুলি সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারলেই পড়ুন, নাহলে পড়বেন না।

বিশেষ করে মাথায় রাখা উচিত, পুজোর সময় আসন তুলে রাখুন। পুজো করার পর অবশ্যই আসন তুলে রেখে দিন। কথিত আছে যে, যদি না করলে দোষ তৈরি হয়ে যায়। পুজোর পরে, আসনের উপর ফুল ও সিঁদুর অর্পণ করে, জল ছিটিয়ে তবেই ওঠা উচিত নয়। তাতেই পূজার পূর্ণ ফল পাবেন।