Cold And Flu: দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনে ঠান্ডা, সর্দিতে নাজেহাল! একনিমেষে সুস্থ হবেন কীভাবে?

Health Benefits: নাক বন্ধ হওয়া, ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানের কথা বলা হয়েছে যা অবলম্বন করলে নিমেষে মিলবে উপকার। তার সঙ্গে সারা শীতকালটাই নীরোগ থেকে উপভোগ করা যাবে জীবন।

| Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 01, 2022 | 9:46 AM

1 / 9
ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে সেকথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন বোধহয় নেই। সকাল থেকেই পরিবেশ শীতল। ফ্যান চালাতে হচ্ছে না আর। এদিকে দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি আর গলা ব্যথার সমস্যায়।

ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে সেকথা আলাদা করে বলার প্রয়োজন বোধহয় নেই। সকাল থেকেই পরিবেশ শীতল। ফ্যান চালাতে হচ্ছে না আর। এদিকে দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি আর গলা ব্যথার সমস্যায়।

2 / 9
 বিশেষ করে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা নাক দিয়ে অনবরত জল ঝরতে শুরু করলে রোজকার স্বাভাবিক কাজ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ কেউ মাথাব্যথার সমস্যাতেও ভোগেন। এমন ক্ষেত্রে অনেকেই টপাটপ ওষুধ খেয়ে নেন।

বিশেষ করে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গেলে বা নাক দিয়ে অনবরত জল ঝরতে শুরু করলে রোজকার স্বাভাবিক কাজ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ কেউ মাথাব্যথার সমস্যাতেও ভোগেন। এমন ক্ষেত্রে অনেকেই টপাটপ ওষুধ খেয়ে নেন।

3 / 9
 ওষুধ খাওয়ার সমস্যা দু’টি, প্রথমত ওষুধ সাময়িকভাবে উপসর্গের উন্নতি ঘটালেও সমগ্র শীতের মরশুমে সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে না। পুনরায় ঠান্ডা সর্দি লাগার আশঙ্কা দূর করা যায় না। দ্বিতীয়ত ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় থাকে।

ওষুধ খাওয়ার সমস্যা দু’টি, প্রথমত ওষুধ সাময়িকভাবে উপসর্গের উন্নতি ঘটালেও সমগ্র শীতের মরশুমে সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে না। পুনরায় ঠান্ডা সর্দি লাগার আশঙ্কা দূর করা যায় না। দ্বিতীয়ত ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় থাকে।

4 / 9
তবে নাক বন্ধ হওয়া, ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানের কথা বলা হয়েছে যা অবলম্বন করলে নিমেষে মিলবে উপকার। তার সঙ্গে সারা শীতকালটাই নীরোগ থেকে উপভোগ করা যাবে জীবন।

তবে নাক বন্ধ হওয়া, ঠান্ডা লাগার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে বেশ কিছু ঘরোয়া সমাধানের কথা বলা হয়েছে যা অবলম্বন করলে নিমেষে মিলবে উপকার। তার সঙ্গে সারা শীতকালটাই নীরোগ থেকে উপভোগ করা যাবে জীবন।

5 / 9
১) আদা চা: আদার ব্যাপারে আমরা সকলেই জানি। আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল ও শোগাওল নামক যৌগ যা প্রদাহ নাশ করে। ফলে হাঁচি, কাশি, সর্দি, নাক বন্ধের মতো সমস্যার চটজলদি সমাধানে আদার উপর ভরসা করাই যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন উষ্ণ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা, কাশি যেমন দূর হয় তেমনই সর্দিও চলে যায়। এছাড়া আদায় থাকা উপকারী যৌগ সমগ্র শীতকালে জুড়েই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

১) আদা চা: আদার ব্যাপারে আমরা সকলেই জানি। আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল ও শোগাওল নামক যৌগ যা প্রদাহ নাশ করে। ফলে হাঁচি, কাশি, সর্দি, নাক বন্ধের মতো সমস্যার চটজলদি সমাধানে আদার উপর ভরসা করাই যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন উষ্ণ চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা, কাশি যেমন দূর হয় তেমনই সর্দিও চলে যায়। এছাড়া আদায় থাকা উপকারী যৌগ সমগ্র শীতকালে জুড়েই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

6 / 9
৩) দুধ ও হলুদ: কমন কোল্ড ও ফ্লু প্রতিরোধের জন্য বহু বিশেষজ্ঞই নিয়মিত দুধ ও হলুদ খাওয়ার  নিদান দেন। কারণ হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এছাড়া দুধে রয়েছে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম। তাই প্রতিদিন ঈষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। যে কোনও অসুখের সঙ্গে লড়াই করা যায় ও রোগ দূরে রাখা যায়।

৩) দুধ ও হলুদ: কমন কোল্ড ও ফ্লু প্রতিরোধের জন্য বহু বিশেষজ্ঞই নিয়মিত দুধ ও হলুদ খাওয়ার নিদান দেন। কারণ হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এছাড়া দুধে রয়েছে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম। তাই প্রতিদিন ঈষদুষ্ণ দুধের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। যে কোনও অসুখের সঙ্গে লড়াই করা যায় ও রোগ দূরে রাখা যায়।

7 / 9
২) মধু, লেবুর রস এবং ঈষদুষ্ণ জল: প্রতিদিন সকালে একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে বাড়ে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা! সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও দূর করতে পারে এই পানীয়। গলা ব্যথার সমস্যায় মধু অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া শরীরে ভাইরাসের সংখ্যা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত মিউকাস বা শ্লেষ্মা তৈরিতে বাধা দেয় লেবুর রস। ফলে শ্বাস নেওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়।

২) মধু, লেবুর রস এবং ঈষদুষ্ণ জল: প্রতিদিন সকালে একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে বাড়ে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা! সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও দূর করতে পারে এই পানীয়। গলা ব্যথার সমস্যায় মধু অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া শরীরে ভাইরাসের সংখ্যা কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া মাত্রাতিরিক্ত মিউকাস বা শ্লেষ্মা তৈরিতে বাধা দেয় লেবুর রস। ফলে শ্বাস নেওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়।

8 / 9
৪) তিসি বীজ: উপকারী ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে তিসি বীজে। এই দু’টি উপাদানই হার্টের পক্ষে যেমন ভাল তেমনই রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী। তাই প্রতিদিন দুই চা চামচ তিসি বীজ নিয়ে ১ কাপ জলে ফোটান। ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি হলে তারপর খান। উপকার পাবেন।

৪) তিসি বীজ: উপকারী ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে তিসি বীজে। এই দু’টি উপাদানই হার্টের পক্ষে যেমন ভাল তেমনই রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকরী। তাই প্রতিদিন দুই চা চামচ তিসি বীজ নিয়ে ১ কাপ জলে ফোটান। ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি হলে তারপর খান। উপকার পাবেন।

9 / 9
৫) আমলকী: আয়ুর্বেদে আমলকীকে ধাত্রীফল নামেও ডাকা হয়। আমলায় যেমন যথেষ্ট মাত্রায় রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন সি থাকে তেমনই থাকে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ। ভিটামিন সি নিজেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে উপযুক্ত মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঢুকলে তা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করে। শ্বেত রক্তকণিকার সংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ইন্ধন জুগিয়ে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। কিডনির সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন ১টি করে আমলকী খেয়ে যান সারা শীতকাল জুড়ে।

৫) আমলকী: আয়ুর্বেদে আমলকীকে ধাত্রীফল নামেও ডাকা হয়। আমলায় যেমন যথেষ্ট মাত্রায় রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন সি থাকে তেমনই থাকে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও খনিজ। ভিটামিন সি নিজেও একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে উপযুক্ত মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঢুকলে তা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করে। শ্বেত রক্তকণিকার সংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় ইন্ধন জুগিয়ে দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। কিডনির সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন ১টি করে আমলকী খেয়ে যান সারা শীতকাল জুড়ে।