TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে
Dec 31, 2021 | 5:42 PM
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাসের আগমণের প্রায় দু'বছর হয়ে গিয়েছে। ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে প্রায় সকলেই জেনে গিয়েছিলেন শারীরিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করলেই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই মিলতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা ছাড়া বাকিদের সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করলেই চলবে। তবে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দাপট বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই চিকিৎসকরাই জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদেরও বাড়তি সুরক্ষার জন্য এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণ মাস্ক করোনা সংক্রমণ রোধ করলেও, এন৯৫ মাস্ক পরলে বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া সম্ভব। কারণ করোনা ভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি মাত্রায় সংক্রমক।ওমিক্রন সংক্রমন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এন৯৫ ও চিনে তৈরি কেএন৯৫ মাস্কের চাহিদা নিত্যদিন বাড়ছে। চিনের তৈরি মাস্ক ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কম কার্যকরী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলিতে মিলছে এই দু'ধরনের মাস্ক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উভয় ধরনের মাস্কই নীল সার্জিকাল মাস্ক বা কাপড়ের তৈরি মাস্কের তুলনায় বেশি কার্যকরী।
সাম্প্রতিক নির্দেশিকা জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের অন্তত পাঁচ দিন সব সময়ের জন্য মাস্ক পরে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু কোন ধরনের মাস্ক পড়লে সংক্রমণ হবে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে নির্দেশিকায় কিছু বলা নেই।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কোন মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ এই নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এই সময়ে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। আপনি যদি হাসপাতালে যান তবে অবশ্যই এন৯৫ মাস্ক পরতে হবে। যেসমস্ত ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অথবা কর্মসূত্রে যাদের ভিড়ে যেতে হয় তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এন৯৫ মাস্ক পরা উচিৎ বলেই মনে করেন চিকিৎসকরা।
কোন মাস্ক রুখবে ওমিক্রন! প্রতীকী চিত্র