
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের নানা সমস্যা দেখা যায়। চুল পড়া, অকালে পেকে যাওয়া, শুষ্কতা, নিস্তেজ হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়ার মত সাধারণ সমস্যাগুলি বাড়তেই থাকে। ব্যস্ত জীবনে সময় থাকতে স্বাস্থ্যকর চুল ধরে রাখার জন্য কিছু উপায় জানা দরকার।

সিল্কি, মজবুত ও উজ্জ্বল চুলের জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্যের ব্যবহার করা অনেক সহজ। তবে প্রাকৃতিক প্রতিকারের থেকে কোনও বিকল্প কিছুই নেই। অনেকেই জানেন না, চুলের জন্য ফুলের ব্যবহার একটি গুপ্তধনের মত। ঘর সাজানোর জন্য নয়, ফুলের ব্যবহার বিয়ে বা পার্টিতেও হেয়ারস্টাইল করা হয়। চুলের পুষ্টি জোগাতে, একটি শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে ফুলের গুণের অবদান রয়েছে।

গোলাপ ভালবাসার প্রতীক। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য গোলাপ ফুলর নির্যাস ব্যবহার করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। চুলের জন্যেও গোলাপ জল ব্যবহার করা যেতে পারে। মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল উত্পাদন কমাতে সাহায্য করে। খুশকির সমস্যা ও চুল নরম করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তাতে নারকেল তেলের কয়েক ফোঁটা, রোজমেরি তেল ও মধু মিশিয়ে একটি হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন।

চুলের যে কোনও পণ্যে জবা ফুলের অবদান দেখা যায়। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, যা চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জবা ফুলই নয়, জবা ফুলের পাতাও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

চুল পড়া রোধ করতে ৫-৬টি ফুল পিষে রাখুন। এরপর সেটি মাথার ত্বকে প্রয়োগ করুন। আবার গুঁড়ো করে নারকেল তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

হেয়ারস্টাইলের জন্য জুঁই ফুলের মালার গজরার ব্যবহার ভারতীয় সাজে একটি অন্যতম মাত্রা যোগ করে। সুগন্ধ ও বহু গুণে সমৃদ্ধ জুঁই ফুল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মাথার ত্বক ময়েশ্চারাইজড করতে ও পরিষ্কার করতে এর গুণের শেষ নেই।

চুলের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য রোজমেরির তেলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। রোজমেরি ফুলের নির্যাস ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালনে উন্নত হয় ও চুলের প্রাকৃতিক গ্রোথকে বাড়িয়ে তোলে। রোজমেরির রস প্রয়োগ করার পর শ্যাম্পু করুন। তাতে চুল ঝরে পড়া, টাক পড়ে যাওয়া, অকালে চুল পেকে যাওয়া ও খুশকির সমস্যার সমাধান করতে পারে।

মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে ও পরিষ্কার রাখতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ বার্গামট ফুলের ব্যবহার করা অত্য়ন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। চুলকে কন্ডিশনড করতে, মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য়। এতে দ্রুত চুল বৃদ্ধি ঘটে, পাশাপাশি চুলের শুষ্কতা ও আগা ফেটে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।