Fatty Liver Disease: ক্রমেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা, সুস্থ থাকতে যা কিছু রাখবেন আপনার ডায়েটে
Diet: ডায়াবিটিস, ওবেসিটির মতই নিঃশব্দ ঘাতক হিসেবে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের পর সেই সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। ফ্যাটি লিভার দু রকমের হয়। অ্যালকোহলিক এবং নন অ্যালকোহলিক।
নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার আক্রান্তের সংখ্যাই এখন অনেকটা বেশি। লিভারে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট জমে তাহলে কিন্তু সেখান থেকে লিভার সিরোসিস কিংবা লিভার ফেলিওয়ের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। আর তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যা কিংবা পেটে ব্যথা হলে আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হলে কিন্তু জোর দিতে হবে ডায়েটে। সেই সঙ্গে ওজন কমাতে হবে। ওজন কমাতে পারলে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান হয়।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভাল কাজ করে কফি। এমনকী লিভার ফাইব্রোসিস হওয়ার হাত থেতেও বাঁচায়। আর তাই দুধ-চিনি দিয়ে কফি নয়, বরং ব্ল্যাক কফি খান প্রতিদিন।
মুসুর ডাল, কাবুলি চানা, সয়াবিন, মটরশুঁটি, মটর- এসবের মধ্যে যে স্টার্চ থাকে তা কিন্তু লিভারের জন্য ভাল। সেই সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাতেও ভাল কাজ করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খান। কারণ গবেষণা বলছে ফ্যাটি অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে কোলেস্টেরল লেভেলও নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। ইলিশ, চিংড়ি, পমফ্রেট কিংবা কাতলা কিন্তু লিভার থেকে ফ্যাট শোষণে সাহায্য করে।
সূর্যমুখীর বীজে প্রচুর পরিমণ ভিটামিন ই রয়েছে। আর ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে এই বীজ। তাই ওটস কিংবা মুজলির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এই সূর্যমুখীর বীজ। যাঁদের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিন্তু রোজ ওটস খেতে পারেন। নন অ্যালকোহলিক ফ্যটি লিভারের জন্য খুবই ভাল হল ওটস।
পালং শাক কিংবা পালং এর জুস খেতে পারলেও কিন্তু খুব ভাল। এতে হজম ভাল হয় সেই সঙ্গে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে পালং শাকের। এছাড়াও হলুদ ব্যবহার করুন রান্নায়। কাঁচা হলুদও খান। হলুদের মধ্যে থাকা উৎসেচক ফ্যাটি লিভারের জন্য খুবই ভাল।
