Blood Sugar: ঘুমিয়েই কমবে ব্লাড সুগার! জানুন চিনির মাত্রাকে বশে রাখার আরও ৪টি সহজ উপায়
Diabetes: ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য অবস্থা চোখ, পা, কিডনি, হার্ট, মেজাজ ও ঘুমের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। বেশ কিছু উপায়ের মাধ্যমে আপনি হাইপারগ্লাইসেমিয়া অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে এটি শরীরে নানা ভাবে ফেলে। ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য অবস্থা চোখ, পা, কিডনি, হার্ট, মেজাজ ও ঘুমের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। বেশ কিছু উপায়ের মাধ্যমে আপনি হাইপারগ্লাইসেমিয়া অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। এই শারীরিক অবস্থায় শরীরে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় কিংবা উৎপাদন কমে যায়। যার ফলে বিপাক ক্রিয়া থেকে শুরু করে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের প্রভাব পড়ে।
রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করতে পারে। দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা জরুরি। এটি ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।
হাইড্রেটেড থাকুন। শরীরে জলশূন্যতা নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করুন। এতে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত চিনি অপসারণ হয়ে যাবে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে।
ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিন। খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন সব কিছু মিলিয়ে মিশিয়ে রাখুন। মনে রাখবেন, সুষম আহারই সুস্বাস্থ্যের একমাত্র সহজ উপায়। পুষ্টিকর খাবার খান যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডায়েটের পাশাপাশি আপনাকে শরীরচর্চার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে যোগব্যায়াম করা ভীষণ জরুরি। যোগব্যায়াম না করতে পারলে দিনে অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এতেও হাইপারগ্লাইসেমিয়া অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।