
প্রতি বছর শ্রীকৃ্ষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে সপরিচিত মথুরা , বৃন্দাবন এই দুটি শহরে প্রচুর সংখ্যক তীর্থযাত্রী ও পর্যটকের ভিড় হয়। অল্প সময়ের জন্য আধ্যাত্মিক প্রবাসে যেতে হলে মথুরা ও বৃন্দাবন আপনার গন্তব্য হতে পারে।

যদি এক থেকে দু-দিনে ট্যুর হিসেবে এখানে যেতে চান, তাহলেও বেশ সময় নিয়ে এখানে ভ্রমণ করতে পারবেন। বৃন্দাবনে দেখার সেরা স্থানগুলি হল, সেবাকুঞ্জ, নিধুবনস শাহজি মন্দির, গোবর্ধন পাহাড়, বাঁকে বিহারি মন্দির। মথুরাতেও রয়েছে কিছু দর্শনীয় স্থান। যেমন কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, কুমুম সরোবর, প্রেম মন্দির, জামে মন্দির ও দ্বারকাধীশ মন্দির।

দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি আপনি যমুনা নদীতে নৌকাবিহার করতে পারেন, সন্ধ্যের সময় প্রদীপ ভাসাতে পারেন, কুসুম সরোবরে সাঁতার কাটতে পারেন। এছাড়া ,সরকারি জাদুঘর, জামে মসজিদ বা কানস কুইলা পরিদর্শন করতে পারেন।

মথুরা ও বৃন্দাবন দেখার সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস। বছরের এই সময় এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকায় পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে। বছরের বাকি সময় এখানে তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মথুরা ও বৃন্দাবন থাকার কোনও অসুবিধা নেই। রয়েছে প্রচুর হোটেল, হোমস্টে, এমনকি ধরমশালাও রয়েছে। তবে বৃন্দাবনে থাকার চেষ্টা করুন, সেখানেই বেশিরভাগ সময়টা কাটানোর চেষ্টা করুন।

দিল্লি থেকে প্রায় ১৫০ ও ১৭০ কিমি দক্ষিণে মথুরা ও বৃন্দাবন অবস্থিত। এই পবিত্র দুটি শহরে পৌঁছানোর জন্য বাস, ট্রেন, গাড়ি রয়েছেই। দিল্লি অন্তঃরাজ্য় বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি ১০-১৫ মিনিট অন্তর মথুরার উদ্দেশ্য বাস ছাড়ে।

ট্রেনে করেও মথুরা যেতে পারেন। সাশ্রয়ী ভাড়ায় মথুরা জংশনের উদ্দেশ্য ট্রেনে করে রওনা হতে পারেন যেকোনও স্টেশন থেকে। মথুরায় পৌঁছে অটো বা ক্যাবের মাধ্যমে বৃন্দাবন ভ্রমণ করতে পারেন।