ডিম ভাল দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন ও জেক্সানথিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চোখের ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়ের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী।
ডিম হচ্ছে একটি মাত্র খাদ্য যাতে ভিটামিন ডি রয়েছে। অন্যথায় শুধুমাত্র সূর্যালোক থেকেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই ভিটামিন ডি হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
নিয়মিত ডিম খাওয়া বাচ্চাদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাত এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
ডিমের মধ্যে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যার চুল ও নখের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
শরীরে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে চাইলে নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করুন। যার সঙ্গে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও কমে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ছয় সপ্তাহ ধরে দিনে দুটি ডিম খাওয়ার ফলে এইচডিএলের মাত্রা ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে ডিম। ডিমের মধ্যে থাকা পুষ্টি উদ্বেগ, বিষন্নতা, অবসাদ-হতাশা কাটাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন বি১২ ও ফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ডিম শিশুদের স্নায়বিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। শরীরে ফোলেটের অভাব থাকলে একাধিক স্নায়ু জনিত রোগ দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে ডিম শিশুদের বিকাশে সাহায্য করে।