গম ঘাসের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহ বিরোধী উপাদান রয়েছে, যা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই ঘাসের মধ্যে আয়রন, ক্যালসিয়াম, এনজাইম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, 17 অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি, ই, কে, ও বি কমপ্লেক্স, ক্লোরোফিল এবং প্রোটিন রয়েছে।
গম ঘাসের রস বা জ্যুস বানিয়ে পান করতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বাইরে বেরিয়ে যাবে এবং আপনার লিভার ভাল থাকবে। তার সাথে বৃদ্ধি পাবে হজম ক্ষমতাও।
রক্তে শর্করার পরিমাণকে বজায় রাখতে সাহায্য করে গম ঘাসের রস। এমনকি যারা ডায়বেটিসের রোগী তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণকে ৩০ দিনের মাথায় কমিয়ে দিতে সক্ষম গম ঘাসের রস।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে ক্যান্সারের কোষকে মারতে সাহায্য করে গম ঘাসের রস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে গম ঘাসের রস মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪১ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। চিকিৎসা শুরু তিন দিনের মাথায় এই রস শরীরে লিউকেমিয়া কোষের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ অবধি কমাতে কার্যকর।
ওজন কমাতে চান? সেখানেও দুর্দান্ত কাজ করে গম ঘাসের রস। গম ঘাসে থাইলাকয়েড নামক একটি উপাদান পাওয়া যা ওজন কমাতে ভীষণ ভাবে কার্যকরী। সাথে শক্তিশালী হবে আপনার মেটাবলিজমও।
গম ঘাসের রস কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, এলডিএল অর্থাৎ ব্যাড কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে, শরীরে রক্ত চলাচল সচল রাখতে এবং হৃদ রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
যেকোনও ধরণের সংক্রমণ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। ক্রনিক সংক্রমণ ক্যান্সার, হৃদ রোগের মত ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু নিয়মিত গম ঘাসের রস পান করলে শরীরে বৃদ্ধি পায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, যা শরীরকে ভিতর থেকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।