
বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোয়নি, এখনই অনেকে কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। যত দিন যাচ্ছে, এই বাড়তি কোলেস্টেরলের মাত্রা উদ্বেগ বাড়ায়। পাশাপাশি বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। তবু সচেতন নয় অনেকেই।

রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতোই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিশ্চুপে বেড়ে যায়। পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাও বেশ কষ্টকর। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য কোলেস্টেরলকে বশে রাখা দরকার।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে শুধু ওষুধের উপর ভরসা করলে চলবে না। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি জীবনধারা উপরও জোর দিতে হবে। লাইফস্টাইলে ন্যূনতম পরিবর্তন এনেই আপনি কোলেস্টেরলকে জব্দ করতে পারবেন।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে ডায়েট সবচেয়ে জরুরি। ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবারের মতো পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে শরীরচর্চা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট যোগব্যায়াম করলে আপনার ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে সহজে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন যদি হাতের মুঠোয় থাকে, তাহলে কোলেস্টেরল নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। তাই ওজনকে বাড়তে দেবেন না। ওজন বাড়লে কোলেস্টেরলের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে।

এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে গেলে এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ধূমপান ছাড়ুন। ধূমপান কোলেস্টেরলের পাশাপাশি দেহে একাধিক রোগ ডেকে আনে। যার মধ্যে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ এমনকী ক্যানসারও রয়েছে।

ধূমপানের মতোই মদ্যপান নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। অ্যালকোহল সেবনে আপনার ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়তে পারে, যা এক প্রকার কোলেস্টেরল। পাশাপাশি লিভারের ক্ষতিও হয়। তাই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে মদ্যপান কমিয়ে ফেলুন।