বাঙালি পোস্ত বলতে অজ্ঞান। গরম ডাল-ভাত আর আলু-পোস্ত জমিয়ে দিতে পারে লাঞ্চ। তাছাড়া পোস্ত দিয়ে খাবারের তালিকাও নেহাত কম নয়। যদিও পোস্তকে এক ধরনের নেশা দ্রব্য হিসেবেও গণ্য করা হয়। কিন্তু পোস্ত খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
এই ছোট ছোট দানায় ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, কপার, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ই-এর মতো পুষ্টি রয়েছে। পোস্ত খেলে শরীরে কী-কী উপকার মেলে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
হাড়ের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক পোস্ত। পোস্তর মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক-এর পুষ্টি রয়েছে, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কমায় অস্টিওপোরসিসের ঝুঁকি।
ঘুমের সমস্যায় কাজে আসতে পারে পোস্ত। ঘুমের মান উন্নত করে পোস্ত। স্নায়ুকে শিথিল করে এবং শরীরে আরাম প্রদান কমে পোস্ত। ঘুমের প্যাটার্নকে ঠিক করতে এবং অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পোস্ত খান।
মরফিন, কোডাইন, থেবাইনের মতো উপাদান পাওয়া যায় পোস্তর মধ্যে। যে কারণে এই বীজকে নেশাদ্রব্য বলা হয়। আবার এসব উপাদানই শারীরিক ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। পেইনকিলার হিসেবে কাজ করে পোস্ত।
পোস্তর মধ্যে জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ছোট দানা ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে অকাল বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে। ত্বকের সমস্যা কমায় পোস্ত।
পোস্ত দানার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট রয়েছে। আপনি পোস্ত দানারকে এনার্জি বুস্টিং খাবার হিসেবেও খেতে পারেন। পোস্তর তৈরি খাবার খাওয়ার পর শরীরে কাজ করার এনার্জি পাবেন।
হার্টের জন্য ভীষণ উপকারী পোস্ত। এই ছোট দানার মধ্যে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং শারীরিক প্রদাহ কমাতে সহায়ক।