
একটুতেই কেঁদে ফেলেন? কারও উপর রাগ করে তাকে চেঁচিয়ে কিছু বলতেই পারেন না? তার আগেই চোখে জল চলে আসে? কিংবা আনন্দেও কেঁদে ফেলা কি আপনার অভ্যেস?

অনেক সময় মানসিক চাপ (Mental Stress) সহ্য করতে না পেরে অনেকেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন। আশেপাশের লোকজন বিদ্রুপ করলেও কান্না চেপে রাখতে পারেন না তারা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাভাবিক ভাবে মানসিক চাপ ও কাজ বা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এই কান্না। এমনকি অন্যদের প্রতি মানবিক হতে, সহানুভূতি ও সমবেদনা প্রকাশ করতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কান্না চেপে রাখা উচিত নয়। বরং কাঁদলে শরীর ভাল থাকে। শুনে অবাক হলেন তো? এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে কান্না।

তবে যাঁরা অল্পতেই কেঁদে ফেলেন, তাঁদের এই কান্না স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। শরীর ও মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন উপকারীতা রয়েছে কান্নার।

প্রতিবার একপলকে চোখ থেকে বেসাল টিয়ার নির্গত হলে চোখকে ধুলোবালি ও দূষণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। চোখের মধ্যে সূক্ষ্ম ধুলোবালির কণা পড়লে তা জ্বালাভাব ও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।

অশ্রুধারা চোখকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তাত চোখের শুষ্কতার লক্ষণ দূর হয় ও ঝাপসা দৃষ্টি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া মানসিক কষ্ট ও শারীরিক ব্যথা কমায় চোখের জল।

চোখের জল চোখকে দ্রুত পরিস্কার করতে সাহায্য করে। টক্সিন থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে অশ্রুজল। চোখের জলের মধ্যে রয়েছে লাইসোজাইম নামে এক ধরনের তরল, যা চোখের ব্যকটেরিয়াকে মেরে ফেলে।