
রাত পোহালেই শিবরাত্রি। ছোট থেকে বড়- অনেকেই শিবরাত্রির ব্রত করেন। কেউ সারাদিন উপবাস করে রাতে পুজো দিয়ে জল খান। আবার অনেকে লুচি, পরটা, ডালিয়া খেয়ে উপবাস করেন

সারাদিন সম্পূর্ণ উপবাস করার পর কিছু খেলেই পেট ভরে যায়। আবার লুচি, পরটা খেলেও অ্যাসিডিটি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই উপবাসের সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যাতে অ্যাসিডিটির সমস্যা না হয় বা শরীর দুর্বল হয়ে না পড়ে

উপবাসের দিন সকাল শুরু করুন ডাবের জল দিয়ে। এটা যেমন শরীরকে সতেজ রাখে, তেমনই শরীরের পুষ্টি বজায় রাখে। ডাবের জলে ইলেক্ট্রোলাইটস এবং পুষ্টি-সমৃদ্ধ। তাই শিবরাত্রি হোক বা যে কোনও উপবাসের শুরুতে শরীর সুস্থ রাখতে খুব কার্যকরী এটা

অনেকেই শিবরাত্রিতে একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। সেক্ষেত্রে পুজো দেওয়ার পর উপবাস ভাঙার সময় পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আমন্ড দুধের মধ্যে আম, কলা কুচি করে দিয়ে খেতে পারেন। এটা শরীরে এনার্জি আনবে এবং ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি পূরণ করবে

উপবাসের মাঝে অনেকেই চা পান করেন। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি পান করা সবচেয়ে ভাল। গ্রিন টি না হলে ব্ল্যাক টি-র সঙ্গে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নেবেন। এগুলি শরীরকে যেমন হাইড্রেটেড রাখে, তেমনই ডিটক্সিফিকেশন উন্নীত করে ও উপবাসের সময়ও শরীরে বিভিন্ন খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখে

উপবাস ভাঙার পর অনেকেই সাবুদানা ভেজানো জল পান করেন। তবে সাবুদানার খিচুড়ি খেতে পারেন। এটা পেট ভর্তি রাখে। এছাড়া সবজি, ঘি, আদা, হলুদ, লঙ্কা দিয়ে তৈরি এই খিচুড়ি দেহে পুষ্টি জোগায়। লুচি-পরটার বদলেও এটা খেতে পারেন। অ্যাসিডিটির ঝুঁকি কমবে এবং শরীর ঠান্ডা রাখবে

অনেকেই শিবরাত্রির উপবাস করলে রান্না করা খাবার খান না। সেক্ষেত্রে ফ্রুট স্যালাড খেতে পারেন। ফ্রুট স্যালাডের মধ্যে অবশ্যই আপেল, বেদানা, লেবু, শসা রাখুন। ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফলগুলি উপবাসের সময়ও শরীরকে তরতাজা রাখবে

শিবরাত্রির উপবাসে যাঁরা রান্না খাবার একেবারে খেতে চান না, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভাল বিকল্প খাবার হতে পারে মাখানা। বিশেষত, রোস্টেড মাখানা খেতে যেমন মুচমুচে, তেমনই শরীরের পুষ্টি বজায় রাখে। পেটও ভর্তি থাকে। রোস্টেড মাখানার বদলে মাখানা দুধও খেতে পারেন