
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তার কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণ ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়া, হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু এগুলো তখনই হয় যখন আপনি প্রাথমিক অবস্থায় নিজের খেয়াল রাখেন না।

শরীরের যখন কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে, তখনও কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি লক্ষণ দেখা যায় হাতে। হঠাৎ করে কাজ করার সময় হাতে ব্যথা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। পাশাপাশি পায়েও বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।

পায়ে অসাড়তা, পায়ে ব্যথা এবং নিতম্বে যন্ত্রণাও কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। এই ধরনের হাতে ও পায়ের উপসর্গকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ বলে। সময় থাকতে সচেতনতা হলে এবং চিকিৎসার সাহায্য নিলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যায়।

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে এটি ধমনীর দেওয়ালে চর্বি তৈরি করে। ফলে এটি ধমনীতে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। এখান থেকে শরীরে আরও জটিলতা তৈরি হয়। বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক অবস্থার পিছনে কিন্তু অনেকাংশে এই কোলেস্টেরলই দায়ী থাকে।

তাই হাতে বা পায়ে যদি কোনও ধরনের ব্যথা বা অসাড়তা বা দুর্বলতা লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এমনকী পায়ের ভঙ্গুর নখ, ত্বক ফ্যাকাশে বা নীল হয়ে যাওয়া, পায়ের ঘা সহজে না নিরাময় হওয়াও কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত হতে পারে।

লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করালেই জানা যাবে যে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কিনা। এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ভাল কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা সম্পর্কে জানা যাবে। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

কোলেস্টেরলের মাত্রাকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে বিশেষ নজর দিন জীবনযাত্রার উপর। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকুক। তেল, চর্বিযুক্ত খাবার কম খান। ধূমপান, মদ্যপান ত্যাগ করুন। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। শরীরকে সচল রাখুন। যোগব্যায়াম না করলেও আপনি হাঁটা, সাইকেলিং, সাঁতারের মতো ক্রিয়াকলাপগুলো করতে পারেন।