
সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর। বাইরে তাপমাত্রা কম হোক বা বেশি, ইউভি রশ্মি ত্বকের জন্য কোনওভাবেই নিরাপদ নয়। ইউভি রশ্মির কারণে সানট্যান, সানবার্ন, পিগমেন্টেশন সহ ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া সূর্যের রশ্মি থেকে স্কিন ক্যান্সারও হতে পারে। তাই সূর্যালোকে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

বাজারে নানা ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করলে এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবে না। এর জন্য আপনি নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলে রয়েছে ৪-৬টি এসপিএফ প্রোপার্টিজ যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ব্লক করতে পারে।

বিশেষজ্ঞের মতে, নারকেল তেল ট্র্যাডিশনাল সানস্ক্রিনের বিকল্প হতে পারে না। আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির মতে, ৩০-এর বেশি এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন জল বিরোধী এবং ইউভি-এ ও ইউভি-বি রশ্মির বিরুদ্ধে বেশি সুরক্ষা দেয়। এসপিএফ ৩০ ইউভিবি থেকে ৯৭ ভাগ সুরক্ষা প্রদান করে। এসপিএফের মাত্রা বেশি হলে এই সুরক্ষার হারও বাড়ে।

নারকেল তেল একা হয়তো খুব শক্তিশালী সানস্ক্রিন নয়। কিন্তু অন্য উপাদানের সঙ্গে ব্যবহার করলে এটি বেশ ভাল কাজ করবে। জোজোবা অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সাইট্রাস ফ্রুটস ইত্যাদির সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

নারকেল তেলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে আরও একাধিক পুষ্টিকর উপাদান, যা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি আরও একাধিক উপকারে মেলে।

নিয়মিত নারকেল তেল মুখে লাগিয়ে মাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ঠিক এই কারণে একদিকে যেমন বলিরেখা সব অদৃশ্য হয়ে গিয়ে ত্বকের বয়স কমে, তেমনি পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাওয়ার কারণে সার্বিকভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।