গিজ়ার কিনে মাসের পর মাস ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয়। তাতে ভেতরে আয়রনের আস্তরণ পড়তে থাকে। সারাবছর অন্তত কিছুটা গিজ়ার ব্যবহার করুন। যাতে ভিতরে আয়রন জমতে না পারে।
নতুন গিজ়ার লাগানোর সময় সঠিক ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ হয়েছে কি না বা পাইপের সংযোগ ঠিক হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যেখানে আপনি গিজার লাগাচ্ছেন, সেখানে অবশ্যই দেয়াল এবং গিজারের মধ্যে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে, নাহলে ভবিষ্যতে গিজ়ারটি নষ্ট হয়ে গেলে এটি মেরামতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
শীতের শুরুতে গিজ়ার ব্যবহার শুরুর আগে মিস্ত্রি ডেকে একবার দেখিয়ে নিন। দেখে নিতে হবে সেন্সর ঠিক আছে কিনা। সেফটি ভাল্ব বছরে অন্তত একবার অভিজ্ঞ মিস্ত্রি ডেকে পরীক্ষা করাতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গিজ়ারে জল গরম হয়ে যায়। খেয়াল রাখুন তা হচ্ছে কি না। না হলে বুঝবেন গিজ়ারে কোনও সমস্যা হয়েছে। বেশি উচ্চতায় গিজার লাগানো উচিত নয়, কারণ এটি করলে সেখানে হাত পৌঁছাতে সমস্যা হয়।
একবার গিজ়ার চালিয়ে অনেকেই বন্ধ করতে ভুলে যান। জল গরম হয়ে গেলে গিজ়ারটি বন্ধ করে তবেই স্নান করুন। এতে যেমন গিজ়ারটি দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে, তেমনই আবার বিদ্যুৎ খরচও বাঁচাতে পারবেন। তবে সর্বদা এমন একটি গিজার কিনুন যাতে অটো কাটের বিকল্প থাকে, যার কারণে জল সম্পূর্ণ গরম হয়ে গেলে এটি বন্ধ হয়ে যাবে, এটি বিপদের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
জল গরম হয়ে গেলে সম্পূর্ণ জল গিজ়ার থেকে বের করে নিন। জল মজুত হতে থাকলে গিজ়ারে আয়রন জমে গিয়ে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফলে বিশেষ যত্ন নিন যাতে আপনি গিজার ব্যবহার করার সময় বৈদ্যুতিক শক না পান।
গিজ়ারে কোনও সমস্যা দেখলে তা ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। তা না হলে যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে। গিজারের সুইচটি একটু উঁচু জায়গায় রাখতে হবে যাতে ছোট বাচ্চাদের হাত সেখানে পৌঁছাতে না পারে। বৈদ্যুতিক শক এড়াতে, আপনার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে গিজ়ার চালু করা উচিৎ।