
আমাদের শরীরে ভাল ও খারাপ উভয় কোলেস্টেরলই রয়েছে। কোলেস্টেরল হল একটি চটচটে, মোমের মতো পদার্থ যা রক্তনালীতে জমা হয়। সুতরাং, ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন বজায় রাখা দরকার, তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকেই ধীরে ধীরে হার্টের সমস্যা আসে। হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং অলস জীবনই এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী।

কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বশে রাখার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে ডায়েট ও শরীরচর্চা রয়েছে। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য ঘরোয়া প্রতিকারেরও সাহায্য নিতে পারেন। আর এর মধ্যে সহজলভ্য হল আমলকি।

আমলকি পুষ্টিতে ভরপুর। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। ১০০ গ্রাম আমলকির মধ্যে ২০টি কমলালেবুর সমান ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এতে অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ ও ই, আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এছাড়া আমলকির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

বিএমসি-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, দিনে দু'বার ৫০০ মিলিগ্রাম করে আমলকির রস পান করলে এটি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে। ১২ সপ্তাহের এক সমীক্ষায় এটাই সামনে এসেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন এক কাপ করে আমলকির রস পান করা উচিত। স্বাদের জন্য আপনি আমলকির রসে বিটনুন ও মধু মেশাতে পারেন।

কাঁচা আমলকি খেলেও অনেক উপকার পাবেন। শীতকালীন ফল হওয়ায় আমলকি সারা বছর পাওয়া যায় না। তবে বাজারে বিভিন্ন ধরনের আমলকির রস পাওয়া যায়, সেগুলো আপনি খেতে পারেন। কিংবা বাড়িতে আমলকির আচার, শুকনো আমলকি বানিয়ে রেখে দিতে পারেন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমার পাশাপাশি আমলকি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অর্থাৎ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী আমলকির রস। এছাড়া এটি হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।