
প্যারিস এলজিবিটিকিউ সেন্টার, অলিয়ঁস ফ্রাসেঁ দ্যু বেঙ্গল আর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রান্তকথার যৌথ উদ্যোগে হল একটি চিত্র প্রদর্শনী। 'পুরাণ ও প্রেম' শীর্ষক এই প্রদর্শনীর ফরাসি নাম মিথোলজি এত ল আমোর । লিঙ্গ বৈষম্য আর তার ফলে উৎপন্ন বিদ্বেষের বিষে জর্জরিত সারা বিশ্ব। সে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানই হোক কিংবা ফ্রান্স।

দুদিনের একটি শিল্প কর্মশালায় অতীত ও পুরাণ থেকে উদাহরণ নিয়ে বর্তমানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষদের বর্তমান আর ভবিষ্যতের সুলুক সন্ধান করল আমাদের শহর ।

প্রদর্শনীর পাশাপাশি এই কর্মশালায় বাঙলার এলজিবিটিকিউদের জন্য ছিল আর্ট থেরাপির ব্যবস্থাও। সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপে বহু তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বারেবারে দেশান্তরী হয়ে হয়েছেন শরণার্থী। যদিও দেখা গেছে দেশান্তর এই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ।

আমাদের শহরের রুপান্তরকামী ও এলজিবিটিকিউদের সঙ্গে একটি অনলাইন আলোচনায় মেতেছিলেন পাকিস্তানের গুরলিন কৌর আর শ্রীলঙ্কার এজরাহ। এজরাহ শ্রীলঙ্কায় আসেন প্রায়ই। এখন থাকেন ফ্রান্সে। এজরাহ বলছেন ইউরোপের দেশ গুলোও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য অনুকূল নয়। তারচেয়ে উপমহাদেশর দেশগুলো অনেক বেশি স্বাভাবিক আচরণ করে এলজিবিটিদের জন্য।

দেশে দেশে গল্পরা মিলে মিশে থাকে। তাই শিল্পী অভিজিৎ ঘোষের কল্পনায় মেরি ম্যাডলিন মিশে যায় অভিজিতের ঠাকুমার সঙ্গে।

টেক্সটাইল ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করার পর প্যারিস থেকে ফ্যাশন নিয়ে এমবিএ করেছেন শিল্পী অভিজিৎ ঘোষ। প্রতিবছর নদীয়ায় তাঁর বাড়িতে ফেরেন অভিজিৎ।

আবার কখনও কালীর মুকুট হিসাবে উঠে আসে ভিক্টোরিয়ার তোরণ। যে কালীর হাতে বসে আছে সবুজ টিয়া। স্বাধীনতার বার্তাগুলো রয়েছে আমাদের শিকড়েই। সেখানেই রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের প্রাচীন উপাখ্যানগুলো । কোথাও যেন এই কথাটাই বলে গেল 'মিথোলজি এন্ড লাভ'।