পর পর ঘূর্ণিঝড় ভেঙেছে খেজুর গাছ, মোয়া শিল্প বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ জয়নগরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 04, 2021 | 2:14 PM

Photo Gallery: শীতের মরসুম মানেই বাঙালির পাতে খেজুর গুড়। সকালের নাস্তা কিংবা লাঞ্চ টাইম বা যে কোনও সময়েই বাকি খাবারের পর অন্তত এক পিস জয়নগরের মোয়া।

1 / 6
শীতের পরশ গায়ে মেখে বাঙালির মৌতাতের অন্যতম সঙ্গী জয়নগরের মোয়া। শীত পড়বে অথচ বাঙালি জয়নগরের মোয়া খাবে না তা হতেই পারে না। এই জয়নগরের নাম ভাঙিয়ে কত জায়গায় যে মোয়া তৈরির রমরমা তার ইয়ত্তা নেই। গোটা শীতকাল জুড়েই রাজ্যের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায় খেজুর গুড় আর কনকচূড় ধানের খইয়ের পাকে তৈরি এই সুস্বাদু মিষ্টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই মিষ্টির আদর সর্বত্র।

শীতের পরশ গায়ে মেখে বাঙালির মৌতাতের অন্যতম সঙ্গী জয়নগরের মোয়া। শীত পড়বে অথচ বাঙালি জয়নগরের মোয়া খাবে না তা হতেই পারে না। এই জয়নগরের নাম ভাঙিয়ে কত জায়গায় যে মোয়া তৈরির রমরমা তার ইয়ত্তা নেই। গোটা শীতকাল জুড়েই রাজ্যের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যায় খেজুর গুড় আর কনকচূড় ধানের খইয়ের পাকে তৈরি এই সুস্বাদু মিষ্টি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই মিষ্টির আদর সর্বত্র।

2 / 6
তবে সেই জয়নগরের মোয়া ক্রমশই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে, মোয়া তৈরির মূল রসদ খেজুরের রস বা নলেন গুড়ের ভাড়ারে টানই এর মূল কারণ। পর পর ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভেঙে কিংবা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খেজুর গাছ। কিন্তু নতুনের দেখা মিলছে না। এলাকার মানুষও বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না এই বৃক্ষরোপণে। ফলে চাহিদা ও জোগানে বাড়ছে ফারাক।

তবে সেই জয়নগরের মোয়া ক্রমশই অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে, মোয়া তৈরির মূল রসদ খেজুরের রস বা নলেন গুড়ের ভাড়ারে টানই এর মূল কারণ। পর পর ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভেঙে কিংবা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খেজুর গাছ। কিন্তু নতুনের দেখা মিলছে না। এলাকার মানুষও বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে না এই বৃক্ষরোপণে। ফলে চাহিদা ও জোগানে বাড়ছে ফারাক।

3 / 6
যতই ঝড় ঝাপ্টা আসুক না কেন, নিজেদের অস্তিত্বকে কে আর হারিয়ে ফেলতে চায়। সেই কথা মাথায় রেখেই জয়নগর পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রশাসক সুজিত সরখেলের অভিনব উদ্যোগ। জয়নগরের বুকে একটি আধুনিক মোয়া হাব তৈরি করতে চান তিনি। আর তার জন্য যাতে গুড়ের জোগানে কমতি না হয়, তাই নিয়েছেন খেজুর গাছ রোপণের উদ্যোগ।

যতই ঝড় ঝাপ্টা আসুক না কেন, নিজেদের অস্তিত্বকে কে আর হারিয়ে ফেলতে চায়। সেই কথা মাথায় রেখেই জয়নগর পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রশাসক সুজিত সরখেলের অভিনব উদ্যোগ। জয়নগরের বুকে একটি আধুনিক মোয়া হাব তৈরি করতে চান তিনি। আর তার জন্য যাতে গুড়ের জোগানে কমতি না হয়, তাই নিয়েছেন খেজুর গাছ রোপণের উদ্যোগ।

4 / 6
শীতকাল জুড়ে 'জয়নগরের মোয়া' লেখা বাক্সের পসার সাজিয়ে কলকাতা ও শহরতলি-সহ বিভিন্ন জেলা সদর এমনকী মহকুমা শহরেও অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়ে যায়। বহু মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা এই শীতের মরসুমটুকুতে জয়নগরের মোয়া বিক্রি করে যা উপার্জন করেন, তাতেই সারা বছরের সংসারের ব্যয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয়।

শীতকাল জুড়ে 'জয়নগরের মোয়া' লেখা বাক্সের পসার সাজিয়ে কলকাতা ও শহরতলি-সহ বিভিন্ন জেলা সদর এমনকী মহকুমা শহরেও অস্থায়ী দোকান তৈরি হয়ে যায়। বহু মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এমনও অনেকে আছেন, যাঁরা এই শীতের মরসুমটুকুতে জয়নগরের মোয়া বিক্রি করে যা উপার্জন করেন, তাতেই সারা বছরের সংসারের ব্যয়ের একটা বড় অংশ খরচ হয়।

5 / 6
জয়নগরের-মজিলপুরের পুরপ্রধান থাকার সময়ই সুজিত সরখেল জয়নগরের বুকে একটি আধুনিক মোয়া হাব তৈরি করার কথা বলেছিলেন। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু মোয়ার গুণমানের সঙ্গে কোনও রকম আপোষ না করে ভালো মোয়া তৈরি করাই যার লক্ষ্য। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের সহযোগিতায় জয়নগর-মজিলপুর শহরের গঞ্জেরবাজারে কাজ চলছে সেই হাবের।

জয়নগরের-মজিলপুরের পুরপ্রধান থাকার সময়ই সুজিত সরখেল জয়নগরের বুকে একটি আধুনিক মোয়া হাব তৈরি করার কথা বলেছিলেন। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিন্তু মোয়ার গুণমানের সঙ্গে কোনও রকম আপোষ না করে ভালো মোয়া তৈরি করাই যার লক্ষ্য। সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের সহযোগিতায় জয়নগর-মজিলপুর শহরের গঞ্জেরবাজারে কাজ চলছে সেই হাবের।

6 / 6
তবে হাব হলেও মূল রসদ খেজুর গুড়ে যাতে কোনও রকম ভাটা না পড়ে সে কারণে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে খেজুর গাছ বসানো শুরু হয়েছে। রাধাবল্লভতলায় এরকম প্রায় একশোটি খেজুর গাছ বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকাতেও এই খেজুর চারা বসানো হবে।

তবে হাব হলেও মূল রসদ খেজুর গুড়ে যাতে কোনও রকম ভাটা না পড়ে সে কারণে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে খেজুর গাছ বসানো শুরু হয়েছে। রাধাবল্লভতলায় এরকম প্রায় একশোটি খেজুর গাছ বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে অন্যান্য এলাকাতেও এই খেজুর চারা বসানো হবে।

Next Photo Gallery