
মধ্যবিত্ত ভারতীয় ডাল-ভাত-তরকারিতেই খুশি। আর পুষ্টিকরও এই খাবার। একবাটি ডালে ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হয়ে যায়। মুগ, মুসুর, বিউলি যাই হোক কেন স্বাস্থ্যগুণ মিলবেই। তবে, ডাল রান্নার সময় একটা কাজ আপনাকে করতে হবে।

ডালের কোনও রেসিপি আমরা শেয়ার করছি না। আমরা আপনাকে এমন টোটকার কথা জানাব, যা আপনার ডালের পুষ্টি আরও বাড়িয়ে দেবে। আর এই কাজটা আপনাকে করতে হবে ডাল রান্নার আগে।

অনেকেই ডাল রান্নার আগে তা জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখেন। এবার এই টোটকাটাই আপনাকে মানতে হবে সবসময়। অর্থাৎ প্রতিবার ডাল রান্না আগে সেটা ভিজিয়ে রাখতে হবে জলে। এতে ডালের পুষ্টিও বাড়বে।

ডাল জলে না ভিজিয়ে রান্না করলে সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতে হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। ডাল ভিজিয়ে রান্না করলে এই সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। কারণ ভেজানো ডাল রান্না করলে সেটা সহজপাচ্য খাবার হয়ে ওঠে।

ডালের মধ্যে ফাইটিক অ্যাসিড এবং ট্যানিনের মতো বিভিন্ন ধরনের উপাদান বা এনজাইম থাকে। এগুলো শরীরকে ডাল থেকে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। কিন্তু ডাল যদি ভিজিয়ে রান্না করেন তাহলে এই সমস্যা আর থাকে না। জলে ভেজালে ডালের মধ্যে উপস্থিত ওই উপাদানগুলো দূর হয়ে যায়। এতে ডালের পুষ্টি আরও বেড়ে যায়।

ডাল যদি আগে থেকে জলে ভিজিয়ে না রাখেন তাহলে রান্না হতেও বেশ সময় নেয়। প্রেসার কুকারে বেশ কয়েকটা সিটির পরও ডাল গলতে চায় না। কিন্তু জলে ভিজিয়ে রেখে ডাল সেদ্ধ করলে সেটা দ্রুত রান্না হয়ে যায়।

মুসুর ডালের মধ্যে ফাইটেজ নামের এক ধরণের এনজাইম রয়েছে। মুসুর ডাল ভিজিয়ে রাখলে ফাইটিক অ্যাসিডকে ভেঙে তা সক্রিয় হয়। এক্ষেত্রে আপনি মুসুর ডাল জলে ৮-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে পারেন।

মুসুর ডালের মতোই মুগ ডাল, অড়হড় ডালও কমপক্ষে ৮-১২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। আর যদি রাজমা বা ছোলার ডাল রান্না করেন তাহলে ১২-১৮ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আগের দিন রাতে ডাল জলে ভিজিয়ে রাখেন। এতে পরদিন সকালে রান্নাও চটজলদি হয়ে যাবে।