
তুলসীর ভেষজ গুণ সম্পর্কে প্রায় সকলেই জানেন। সর্দি, কাশি, জ্বরে তুলসী ব্যবহার করলে দুর্দান্ত ফল মেলে। ঔষধিগুণের কারণে তুলসীকে সঞ্জীবনীও বলা হয়।

কিন্তু সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করতে পারলে তুলসী ব্যুমেরাং হতে পারে!

হিন্দুধর্মে তুলসী অত্যন্ত পবিত্র একটি গাছ হিসেবে বিবেচিত। বেসিল বা ওসিমাম বেসিলিকাম একটি চমৎকার ভেষজ। ‘বেসিল’ শব্দটি এসেছে বেসিলিকন থেকে।

তুলসীর পাতা ভারতীয় পরিবার এবং সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতের প্রতিটি বাড়িতেই তুলসী গাছ দেখা যায়। তুলসী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবেও পরিচিত।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন, ভুলভাবে বা অতিরিক্ত মাত্রায় তুলসীর সেবন একজন ব্যক্তির সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম। এছাড়া রয়েছে উপকারী বিটা-ক্রিপ্টোজ্যান্থিন, জেক্সান্থিন, লুটেইন এবং বিটা-ক্যারোটিন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

আগে থেকে তুলে রাখা বা বাসি তুলসীর পাতা সেবন করা উচিত নয়। সবসময় তুলসীর তাজা পাতা খাওয়া উচিত। কারণ একমাত্র তাজা পাতাতেই তুলসীর সকল গুণাবলী বজায় থাকে।

তুলসী পাতা শরীরে সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে। ভাইরাসঘটিত সাধারণ সর্দি, জ্বরের চিকিৎসায় ও ত্বকের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তুলসী অদ্বিতীয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল. খালিপেটে ৫ থেকে ৭টি তুলসী পাতা খাওয়া উচিত।

কখন ক্ষতিকারক তুলসীপাতা? তুলসী পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খেলে সব ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।

তবে মনে রাখবেন এই ভেষজের অতিরিক্ত ব্যবহার ডেকে আনতে পারে ইনফার্টিলিটি! পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস করতে পারে তুলসী। মহিলাদের ক্ষেত্রেও মাত্রাতিরিক্ত তুলসী সেবন মোটেই ভালো নয়।

আবার, তুলসী পাতা দাঁতের ব্যথাও দূর করতে পারে। কিন্তু বেশি পরিমাণে তুলসী চিবিয়ে খেলে দাঁতেরও ক্ষতি হয়। আসলে, তুলসী পাতায় পারদ এবং আয়রন থাকে।

এই ভেষজয় রয়েছে আর্সেনিক। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে চিবিয়ে খেয়ে ফেললে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। যা দাঁতের ব্যথার কারণও হতে পারে। তাই তুলসী খান একজন বিশেষজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে।