Jagaddatri Puja 2024: সিংহবাহিনী জগদ্ধাত্রীর পদতলে কাটা হস্তি মস্তক আসলে কী? সত্যি জানলে চমকে যাবেন

Jagaddatri Puja 2024: দেবী জগদ্ধাত্রী সত্ত্বগুণের অধিকারী। জগদ্ধাত্রী অর্থাৎ জগৎকে ধারণ করেন যিনি। মনে করা হয়, দেবী দুর্গারই আরেক রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী।

| Updated on: Nov 09, 2024 | 4:05 PM
দেবী সিংবাহিনী, তাঁর চার হাত। এক হাতে শাঁখ, এক হাতে চক্র, এক হাতে ধনুক, এক হাতে বাণ, দেবী ত্রিনয়না। বাহন সিংহের উপরে আসীন জগতকে ধারণকারী। আবার দেবীর পদতলে আমরা দেখতে পাই হাতির কাটা মাথা। কিন্তু কেন জানেন? কেন দেবী হৈমন্তিকার পদতলে থাকে হাতির কাটা মাথা?

দেবী সিংবাহিনী, তাঁর চার হাত। এক হাতে শাঁখ, এক হাতে চক্র, এক হাতে ধনুক, এক হাতে বাণ, দেবী ত্রিনয়না। বাহন সিংহের উপরে আসীন জগতকে ধারণকারী। আবার দেবীর পদতলে আমরা দেখতে পাই হাতির কাটা মাথা। কিন্তু কেন জানেন? কেন দেবী হৈমন্তিকার পদতলে থাকে হাতির কাটা মাথা?

1 / 8
এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রচলিত কাহিনি। দেবী জগদ্ধাত্রী সত্ত্বগুণের অধিকারী। জগদ্ধাত্রী অর্থাৎ জগৎকে ধারণ করেন যিনি। মনে করা হয়, দেবী দুর্গারই আরেক রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। যখন অসুররাজ মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নানা রূপে মহিষাসুরকে পরাস্ত করেছিলেন দেবী দুর্গা।

এ নিয়ে রয়েছে নানা প্রচলিত কাহিনি। দেবী জগদ্ধাত্রী সত্ত্বগুণের অধিকারী। জগদ্ধাত্রী অর্থাৎ জগৎকে ধারণ করেন যিনি। মনে করা হয়, দেবী দুর্গারই আরেক রূপ দেবী জগদ্ধাত্রী। যখন অসুররাজ মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নানা রূপে মহিষাসুরকে পরাস্ত করেছিলেন দেবী দুর্গা।

2 / 8
মহিষাসুরও দেবীকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা রূপ ধরে দেবীকে আক্রমণ করছিলেন। এরই মাঝে একবার হাতির রূপ ধরে দেবীকে আক্রমণ করে মহিষাসুর। তখন দেবীও চতুর্ভুজা রূপে চক্র দ্বারা বধ করেন সেই হস্তি রূপের।

মহিষাসুরও দেবীকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা রূপ ধরে দেবীকে আক্রমণ করছিলেন। এরই মাঝে একবার হাতির রূপ ধরে দেবীকে আক্রমণ করে মহিষাসুর। তখন দেবীও চতুর্ভুজা রূপে চক্র দ্বারা বধ করেন সেই হস্তি রূপের।

3 / 8
দেবী ভীষণ যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন করীন্দ্রাসুরকে। আসলে করী কথার অর্থ হল হাতি। দেবী যে অসুরকে বধ করেছিলেন তাঁর নাম ছিল করীন্দারসুর। তাই তিনি করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত।

দেবী ভীষণ যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলেন করীন্দ্রাসুরকে। আসলে করী কথার অর্থ হল হাতি। দেবী যে অসুরকে বধ করেছিলেন তাঁর নাম ছিল করীন্দারসুর। তাই তিনি করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত।

4 / 8
মতভেদে প্রচলিত রয়েছে অন্য কাহিনিও। মনে করা হয়, দেবী আসলে বিনাশ করেছিলেন দেবতাদের অহংকারের। মহিষাসুরকে দেবী বধ করার পরে উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে ওঠেন দেবতারা। যেহেতু তাঁদের সম্মিলিত তেজেই সৃষ্টি হয়েছিল দেবী দুর্গার তাই তাঁরা মনে করেন, আসলে তাঁরাই বধ করেছেন মহিষাসুরকে।

মতভেদে প্রচলিত রয়েছে অন্য কাহিনিও। মনে করা হয়, দেবী আসলে বিনাশ করেছিলেন দেবতাদের অহংকারের। মহিষাসুরকে দেবী বধ করার পরে উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে ওঠেন দেবতারা। যেহেতু তাঁদের সম্মিলিত তেজেই সৃষ্টি হয়েছিল দেবী দুর্গার তাই তাঁরা মনে করেন, আসলে তাঁরাই বধ করেছেন মহিষাসুরকে।

5 / 8
দেবতাদের এই অহংকার হেসে ওঠেন দেবী। দেবতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি সামান্য ঘাসের টুকরো ছুঁড়ে দেন দেবতাদের দিকে। সামান্য  ঘাসের টুকরো, অথচ অগ্নিদেব, বরুণ দেব এমনকি খোদ দেবরাজ ইন্দ্রও সেই ঘাসের টুকরোকে পড়াতে বা নষ্ট করতে ব্যর্থ হন।

দেবতাদের এই অহংকার হেসে ওঠেন দেবী। দেবতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি সামান্য ঘাসের টুকরো ছুঁড়ে দেন দেবতাদের দিকে। সামান্য ঘাসের টুকরো, অথচ অগ্নিদেব, বরুণ দেব এমনকি খোদ দেবরাজ ইন্দ্রও সেই ঘাসের টুকরোকে পড়াতে বা নষ্ট করতে ব্যর্থ হন।

6 / 8
দেবতাদের এই করুণ অবস্থা দেখেই আবির্ভূত হন সালঙ্কারা চতুর্ভুজা দেবী জগদ্ধাত্রী। দেবতাদের নিজের ভুল বুঝিয়ে দেন তিনি। দেবতারা বুঝতে পারেন আদ্যাশক্তি মহামায়ার অংশ দেবী জগদ্ধাত্রী, দেবী দুর্গা এবং জগতের বাকি সব কিছুই। সবই তাঁর ইচ্ছেতেই ঘটে। এই ভাবেই তিনি বিনাশ করেন দেবতাদের অহংকারের।

দেবতাদের এই করুণ অবস্থা দেখেই আবির্ভূত হন সালঙ্কারা চতুর্ভুজা দেবী জগদ্ধাত্রী। দেবতাদের নিজের ভুল বুঝিয়ে দেন তিনি। দেবতারা বুঝতে পারেন আদ্যাশক্তি মহামায়ার অংশ দেবী জগদ্ধাত্রী, দেবী দুর্গা এবং জগতের বাকি সব কিছুই। সবই তাঁর ইচ্ছেতেই ঘটে। এই ভাবেই তিনি বিনাশ করেন দেবতাদের অহংকারের।

7 / 8
মনে করা হয়, মানুষের মন সদা ব্যস্ত, সদা চঞ্চল। তাকে মত্ত হাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই মত্ত মন-করীকে বশ করতে পারলেই সাধনায় সিদ্ধিলাভ সম্ভব। উন্মত্ত মনের তমোগুণকে নিয়ন্ত্রণ করে রজোগুণকে অন্তরে প্রতিষ্ঠা করাই সাধনার লক্ষ্য। সিংহ রজোগুণের প্রতীক। আবার রজোকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্ত্ব গুণ, দেবী স্বয়ং যার প্রতীক। তাই, মা জগদ্ধাত্রী সিংহের উপর আসীন, আর সিংহটি মৃত হাতির উপর দাঁড়িয়ে।

মনে করা হয়, মানুষের মন সদা ব্যস্ত, সদা চঞ্চল। তাকে মত্ত হাতির সঙ্গে তুলনা করা হয়। এই মত্ত মন-করীকে বশ করতে পারলেই সাধনায় সিদ্ধিলাভ সম্ভব। উন্মত্ত মনের তমোগুণকে নিয়ন্ত্রণ করে রজোগুণকে অন্তরে প্রতিষ্ঠা করাই সাধনার লক্ষ্য। সিংহ রজোগুণের প্রতীক। আবার রজোকে নিয়ন্ত্রণ করে সত্ত্ব গুণ, দেবী স্বয়ং যার প্রতীক। তাই, মা জগদ্ধাত্রী সিংহের উপর আসীন, আর সিংহটি মৃত হাতির উপর দাঁড়িয়ে।

8 / 8
Follow Us: