হিন্দু ধর্মে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর পূজার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। শুভ অক্ষয় তৃতীয়ায় কী করবেন এবং কী করবেন না তা জানতে এই নিবন্ধটি পড়ুন, যা সুখ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয় দিনে অক্ষয় তৃতীয়া পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীর বিশেষ পূজা করা হয়। এই দিনে সোনা কেনা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে।
সারা বছর ধরে আপনার কাছে সম্পদ ও শস্যের মজুত থাকে। অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ উত্সব, সেদিনটিতে লক্ষ্মী আশীর্বাদ প্রদান করেন ভক্তদের। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবছর ২২ এপ্রিল, শুক্রবার পড়বে।
অক্ষয় তৃতীয়া সম্পর্কে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে এই দিনে করা পুজোর ফল কখনও ক্ষয় হয় না। বিশ্বাস করা হয় যে এই বিশেষ দিনে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা ছাড়াও এমন কিছু ব্যবস্থা রয়েছে যা করলে আপনি আরও বেশি শুভ ফল পেতে পারেন। সেই সঙ্গে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা এই শুভ দিনে করা নিষিদ্ধ। কারণ এতে পুণ্যের পরিবর্তে পাপ করার সামিল।
অক্ষয় তৃতীয়ায় যা করবেন না: অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সোনা ও রৌপ্য কেনা শুভ বলে মনে করা হয়, তবে আপনি যদি তা করতে সক্ষম না হন তবে আপনি তার পরিবর্তে যেকোনও পাত্র কিনতে পারেন। মাটি বা পিতলের তৈরি পাত্র কিনেও আপনি শুভ ফল পাবেন। কিন্তু আপনি যদি সক্ষম হন, তাহলে অবশ্যই সোনা ও রূপা কিনুন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসী হল ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। তাই ওই দিন পুজো করার সময়, তার উপর কিছু তুলসী পাতা অর্পণ করুন। মনে রাখবেন স্নান না করে তুলসী পাতা স্পর্শ করবেন না।
এছাড়াও, তুলসী পাতা তোলার সময় আপনার নখ ব্যবহার করবেন না। আসলে নখকে দারিদ্র্যের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় তুলসী পাতা তুললে অশুভ ফল পাওয়া যায়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ায় দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ পূজা করা হয়। এই দিনে শ্রী যন্ত্র কিনলে জীবনে যেমন সুখ-সমৃদ্ধি আসে, তেমনি জীবনে চলমান আর্থিক সমস্যাও দূর হয়।
যাঁদের আগে থেকেই এই যন্ত্রটি রয়েছে তাঁদের উচিত এই দিনে যথাযথ আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে পুজো করা। এমনটা করলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সবসময় আপনার উপর থাকে।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সঠিকভাবে ঘর পরিষ্কার করুন। মনে রাখবেন বাড়ির কোনও অংশ যেন অন্ধকার না থাকে। সূর্যাস্তের পর তুলসী গাছের কাছে ঘি-র প্রদীপ জ্বালান, সেই সঙ্গে ঘরের প্রধান দরজায় ঘির প্রদীপ জ্বালান।
এই বিশেষ দিনে কোনও প্রকার তামসিক খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করুন। কোনও বড়দের অপমান করবেন না বরং যতটা সম্ভব তাদের সেবা করুন। বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা করার মাধ্যমে ভগবান বিষ্ণু তার বিশেষ আশীর্বাদ দান করেন।