বিস্ফারিত চোখ, তাতে জিজ্ঞাসা প্রচুর। মাথা ভর্তি একরাশ ঝাঁকড়া চুল। সে বসে রয়েছে কিংবদন্তী গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের কোলে। গায়িকার মুখে হাসি, দুই ভুরুর মাঝের টিপ নজর কাড়ছে অজান্তেই।
এই বালকই যে বহু বছর পর বলিউডের অন্যতম সফল গায়ক-সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন, তা বোধহয় নিজেও ভাবতেন পারেননি সঙ্গীতের সরস্বতী। হয়তো বা পেরে ছিলেন।
তখনকার সেই খুদেই আজ ৬৯-বসন্ত পার করেছেন। আজও তিনি হিট। নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করেছেন। আদায় করেছেন ডিস্কো কিং তকমাও। আন্দাজ করতে পারেন কে?
আরও একটু হিন্ট দেওয়া যাক। তাঁর আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ি। জন্ম জলপাইগুড়ি জেলা ১৯৫২ সালে। বাড়িতে সঙ্গীতের চর্চা ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। বাবা অপরেশ লাহিড়ি আর মা বাঁশুড়ি লাহিড়ী দুজনেই বাংলা সঙ্গীত জগতে ছিলেন পরিচিত নাম। গানের হাতেখড়ি পরিবারেই।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে মুম্বই পাড়ি দেন গায়ক। ইচ্ছে সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া, চোখে সোনালি স্বপ্ন। ১৯৭৩ সালে হিন্দী ভাষায় নির্মিত নানহা শিকারী ছবিতে তিনি প্রথম গান রচনা করেন তিনি। এরপর তাহির হুসেনের জখমী (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
১৯৮৬ সালে গিনিশ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন। ৩৩টি ছবির জন্য ১৮০টি গান রেকর্ড করে। তিনিই একমাত্র ভারতীয় মিউজিক ডিরেক্টর যিনি জোনাথন রসের লাইভ পারফরম্যান্সে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন ১৯৮৯ সালে। তাঁর আইকনিক গান জিমি জিমি আজা আজা... হলিউড ছবি ' You Don't Mess With The Zohan's'-এ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝেই গিয়েছেন তিনি কে? তিনি আর কেউ নন, জনপ্রিয় সুরকার-গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। বাপ্পির সুরে গান গেয়েছেন লতাও। শনিবার তাঁর জন্মদিনে ওই ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।