Toy Train in India: দার্জিলিং নয় ভারতের এই ৪ টয় ট্রেনের সৌন্দর্য্য আরও বেশি মুগ্ধ করবে আপনাকে!
Toy Train in India: ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে ছোট অনেকটা খেলনা গাড়ির মতো একটি ট্রেন। কখনও দূরে উঁকি মারছে পাহাড়ে ঘেরা পর্বতের চূড়া, তো কখনও আবার পাহাড়ি জঙ্গল আর তারই সঙ্গে রোদের লুকিচুরি। এক পাশে খাদ আরেক পাশে ছুটে চলেছে রেলগাড়ি।
1 / 8
'কাস্তো মাজা হ্যায় রেলাইমা/ রামাইলো উকালি ওরালি' এই গানটা শুনলেই মনে ভেসে ওঠে একটাই ছবি। সবুজ আর কুয়াশায় ঘেরা পাহাড়। আর তার মধ্যে দিয়েই কালো ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে একটি ট্রেন।
2 / 8
আরও ভালোভাবে বললে একটি টয় ট্রেন। নেপালি এই কথায় কিন্তু লুকিয়ে আছে যাত্রাপথের সৌন্দর্য্য। ভাবুন তো চারপাশে পাহাড়। আর তার মাঝে পাহাড় কেটে বসানো হয়েছে ছোট একটি রেলপথ।
3 / 8
সেই পথ ধরে ধোঁয়া উড়িয়ে ছুটে চলেছে ছোট অনেকটা খেলনা গাড়ির মতো একটি ট্রেন। কখনও দূরে উঁকি মারছে পাহাড়ে ঘেরা পর্বতের চূড়া, তো কখনও আবার পাহাড়ি জঙ্গল আর তারই সঙ্গে রোদের লুকিচুরি। এক পাশে খাদ আরেক পাশে ছুটে চলেছে রেলগাড়ি।
4 / 8
কি, শুনেই দার্জিলিঙের কথা মনে পড়ছে? তবে এই রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে গেলে যে কেবল দার্জিলিঙেই যেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বরং এই ৪ জায়গায় গেলেও কিন্তু চড়তে পারবেন টয় ট্রেনে।
5 / 8
নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে - নীলগিরি পর্বতের রেলপথটি কিন্তু শুধু ভারতে নয়, এশিয়ার মধ্যে অন্যতম সবচেয়ে খাড়াই রেলপথ। তামিলনাড়ুর উটি ঘুরতে গেলেই চড়তে পারবেন এই ট্রয় ট্রেনে। ১৮৫৪ সালে প্রথম এই রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করা হয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে রেলপথ তৈরি করা সহজ কাজ ছিল না। অবশেষে ১৯০৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ১৬টি টানেল, ২০০টির বেশি ব্রিজ পেরিয়ে পাহাড়ের বাঁক বেয়ে, কুয়াশার বুক চিরে এগিয়ে চলে ট্রেন। এই যাত্রা পথে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘণ্টা। অত্যন্ত খাড়াই পথ হওয়ায় সর্বাধিক ১০.৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলে এই ট্রেন। ২০০৫ সালে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মর্যাদা পায়। কেবল বর্ষাকাল অর্থাৎ জুন-সেপ্টেম্বর বাদে সারা বছর এই পথ খোলা থাকে।
6 / 8
কালকা-সিমলা রেলপথ - ১৯০৩ ব্রিটিশ ভারতে বর্তমানে হরিয়ানার কালকা থেকে হিমাচল প্রদেশের সিমলা পর্যন্ত ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়। পাহাড়ি রাস্তার মধ্যে দিয়ে সর্বাধিক ২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটে যেতে পারে এই ট্রেন। রয়েছে ১৪টি স্টেশন। ২০০৮ সালে, কালকা-সিমলার রেলপথটিও ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এই যাত্রাপথের সব থেকে বড় আকর্ষণ হল এর উচ্চতা এবং ১১৪৩ মিটার দীর্ঘ বারোগ টানেল। তবে এখানে গেলে মাথায় রাখবেন সবচেয়ে ভাল সময় হল মার্চ থেকে জুন। আর আগে ভাগে টিকিট কেটে রাখবেন এবং ট্রেনের ডানদিকে বসলেই ভাল।
7 / 8
মাথেরান হিল রেলওয়ে - সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উচ্চতায় মহারাষ্ট্রের সহ্যাদ্রি পর্বতমালায় অবস্থিত এই রেলপথ। মুম্বাই এবং পুনে দুই জায়গা থেকেই মাত্র আড়াই ঘন্টা দূরে, মাথেরানের মালভূমির শীর্ষে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় এই মাথেরান হিল রেলপথ। ১৮৫০ সালে ইংরেজরা এই মাথেরান আবিষ্কার করে। গরমের হাত থেকে মুক্ত পেতে স্যার আদমজী পীরভয়ের উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই মাথেরান টয় ট্রেন। ১৯০৭ সালে নির্মিত, মাথেরান টয় ট্রেনটির যাত্রাপথ ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ। খুব বেশি পরিচিত না হলেও মহারাষ্ট্রে এই ট্রেনের নাম 'ফুলরানি'। অক্টোবর থেকে মার্চ এখানে যাওয়ার সেরা সময়।
8 / 8
কাংড়া ভ্যালি রেলওয়ে - হিমাচল প্রদেশ কাঙরা উপত্যকার ১৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেন রুট ভারতের দীর্ঘতম এবং শেষ পর্বত রেলপথ। এই ট্রেনে যাত্রার সময় ধৌলাধর পর্বতমালা এবং চা বাগানের অপূর্ব দৃশ্য মুগ্ধ করে। ১৯২৯ সালে নির্মিত, কাঙড়া উপত্যকার এই রেলপথ পঞ্জাবের পাঠানকোট থেকে হিমাচল প্রদেশের জোগিন্দরনগর অবধি চলে। রয়েছে প্রায় ৯৫০টি সেতু এবং ১৮টি স্টেশন। অনেকে নাকি যাত্রাপথে অস্বাভাবিক অনেক কিছুই লক্ষ করেছেন। পাহাড়ি রাস্তায় রেলপথের আনন্দ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সঙ্গে ভূত ভালবাসলে টুক করে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এখান থেকে। তবে প্রকৃতির স্বাদ নেওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় সেপ্টেম্বর থেকে জুন।