গরমে সুস্থ থাকতে রোজের পাতে দই রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। টক দই খেলে গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে। এতে হিট স্ট্রোকের মতো অবস্থাও সহজেই এড়ানো যায়। তাছাড়া এই প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে।
উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে টক দই। রোজ টক দই খেলে এটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িতে তোলে। এমনকী হজম ক্ষমতাও উন্নত করতেও সাহায্য করে টক দই। তবে এমনও কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে দই খেলে হজমের গণ্ডগোল হতে পারে।
গরমে আপনি টক দইয়ের ঘোল, দই-ভাত ইত্যাদি খেতে পারেন। এমনকী ওটসের সঙ্গেও আপনি টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন। আর গরমে বাঙালির প্রিয় খাবার দই চিঁড়ে। কিন্তু এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে দই খাওয়া উচিত নয়।
টক দইয়ের সঙ্গে ভুলেও কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন না। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই রায়তা তৈরির সময় কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করেন। এটা উচিত নয়। এতে পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে।
দই কাতলা আপনার প্রিয় পদ? এতে দেখা দিতে পারে পেটের সমস্যা। পুষ্টিবিদদের মতে, মাছের সঙ্গে দই না খাওয়াই ভাল। এতে হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গরমে অনেকেই পাকা আমের সঙ্গে দই খান। এই খাবারে স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আম ও দই একসঙ্গে খেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। এতে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভাজাভুজি খাবারের সঙ্গে দই এড়িয়ে চলুন। পরোটার সঙ্গেই অনেকেই টক দই খান। কিন্তু লুচি, পরোটার সঙ্গে দই না খাওয়াই ভাল। এমনকী পকোড়ার সঙ্গেও টক দই খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
দুধ আর দই একসঙ্গে একদম নয়। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? দুধ থেকেই দই তৈরি হয়। কিন্তু দুধের সঙ্গে দই না খাওয়াই ভাল। এই দুটো উপাদানই প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে বুক জ্বালা, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।