পোস্ত খেতে কার না ভাললাগে! দাম যতই সোনার কাছাকাছি হোক না কেন বাড়িতে একদিন অন্তত পোস্ত হবেই। ঘটি বাড়িতে এই সংখ্যাটা একটু বেশি। সপ্তাহে অন্তত দু দিন তো হবেই। গরম ভাতে একটু কাঁচা পোস্ত বাটা হলে আর কি লাগে
শুধু কি তাই এছাড়াও পেঁয়াজ পোস্ত, রসুন পোস্ত, মাছ পোস্ত, চিকেন, ডিম কত কিছু দিয়েই না পোস্ত হয়। যে কোনও ভাল রান্নাতেই একটু পোস্ত পড়ে। আর পোস্ত পড়লে সেই খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়
তবে আলুপোস্তর কোনও তুলনা নেই। বর্ধমান, বীরভূম, মেদিনীপুরে পোস্ত বেশি খাওয়া হয়। তবে এই তিন জায়গায় পোস্ত রান্নার পদ্ধতি অন্যরকম। যে কারণে স্বাদেও ফারাক হয়। সব পোস্তই তো হল এবার বানিয়ে ফেলুন পোস্ত ভাত
শুনেই অবাক হচ্ছেন ভাবছেন কী করে বানাবেন এমন রেসিপি। দেখে নিন। আগে থেকেই গোবিন্দ ভোগ চালের ঝরঝরে ভাত বানিয়ে রাখুন একবাটি। কড়াইতে দেড় চামচ সাদা তেল দিয়ে প্রথমে কয়েকটা বড়ি ভেজে নিতে হবে
বড়ি ভেজে তুলে রেখে কিছুটা কাঁচা বাদাম দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ভাল করে ভেজে তুলে রেখে ওই কড়াইতে ১ চামচ ঘি দিতে হবে। ঘি গরম হলে শুকনো লঙ্কা আর কালোজিরে ফোড়ন দিন। ফোড়ন দিয়ে নেড়েচেড়ে একটা পেঁয়াজ কুচি করে দিন
ছোট ডুমো করে কাটা আলু দিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলু বেশ নরম হয়ে এলে এবং ভাজা হলে গোবিন্দভোগ চালের ভাত এতে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার ভাত একটু ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। ভাল করে ভাজা না হলে খেতে মোটেই ভাল লাগবে না
এবার এক চামচ পোস্ত বাটা দিন। তার আগে কাঁচালঙ্কা দিয়ে বেটে নিন। পোস্ত দিয়ে আঁচ কমিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে। খুব ভাল করে পোস্ত মিশিয়ে স্বাদমতো নুন আর চিনি দিন। আবারও নাড়াচাড়া করে নিন
এবার ভেজে রাখা বড়ি ভেঙে নিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। ভাজা শুকনো লঙ্কা ভেঙে দিন। সবশেষে ভেজে রাখা বাদাম দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার পরিবেশন করুন পোস্ত ভাত। এই ভাত খেতে কিন্তু খুব ভাল লাগে। লাঞ্চ কিংবা টিফিনে খেতে পারেন