শীতের বাজারে প্রচুর পরিমাণ ফুলকপি এসে হজির হয়েছে। আপাত, মুখে চড়া না পড়ে যাওয়া অবধি সেই কপি চলতেই থাকবে। তবে নরম কপি খেতে মন্দ লাগে না। চিলি ফুলকপি, মটরশুঁটি দিয়ে ফুলকপি, আলু ফুলকপি অনেক কিছুই বানিয়ে ফেলা যায়
এছাড়াও ফুলকপি দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন পোস্ত। শুধু ফুলকপি নয়, এর ডাঁটা, পাতা দিয়েও অনেক রকম রান্না করা যায়। ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝোল খেতেও দারুণ লাগে। আবার শীতের দিনে খিচুড়িতেও ফুলকপি দেওয়া হয়
ফুলকপির পকোড়া আর শিঙাড়া বাদ রাখবেন কী ভাবে! শীতের দিনে বাঙালির অন্যতম আকর্ষণ হল ফুলকপির শিঙাড়া। গরম এই শিঙাড়া চায়ের সঙ্গে খেতে বেশ লাগে। অনেক রকম রান্না তো হল আজ রইল বাটি চচ্চড়ির রেসিপি
গরম ভাতে এই চচ্চড়ি মাখিয়ে খেতে খুব ভাল লাগে। দেখে নিন কী ভাবে তা বানাবেন। ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। শুধুমাত্র ফুলললাগবে এই রান্নায়। দুটো ছোট টমেটো কুচি করে নিতে হবে
অ্যালুমিনিয়ামের বাটিতে ফুলকপি, মটরশুঁটি, এক চামচ আদা বাটা, একটু হলুদ, স্বাদমতো নুন দিয়ে এক চামচ জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো,২ চামচ সরষে বাটা , বড় দু চামচ কাঁচা সরষের তেল আর সামান্য চিনি দিয়ে মেখে নিতে হবে
হাত দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিয়ে সরষে বাটা জল এই কপিতে দিন। চারটে চেরা কাঁচালঙ্কা আর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। উপর থেকে একটু সরষের তেল ছড়াতে ভুলবেন না। কম আঁচে চাপা দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করে নিতে হবে
১০ মিনিট ভাপে থাকলেই তৈরি হয়ে যাবে ফুলকপি। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে এই বাটি চচ্চড়ি খেতে খুবই ভাল লাগে। কম তেল মশলায় তৈরি হয় এই রান্না, শীতের দিনে মাঝেমধ্যেই বানিয়ে নিতে পারেন এই ফুলকপির বাটি চচ্চড়ি
ফুলকপির ডাঁটা দিয়েও বানিয়ে নিতে পারবেন এই চ্চড়ি। সরষে, সরষের তেল, কাঁচালঙ্কার মিশ্রণে এই কপির ডাঁটা ভাপা খেতে খুবই ভাল লাগবে। বাড়িতে অন্য কিছু না থাকলে চটজলদি বানিয়েও নিতে পারেন