Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ideal Lover: বেশি কিছু না, মেয়েরা চায় একজন আদর্শ প্রেমিক, কীভাবে হবেন স্বপ্নের পুরুষ?

Ideal Lover: বদল সম্ভব নিজের আচরণ-ব্যবহারের পরিবর্তনের মাধ্যমেই। কী ভাবে আরও ভাল সঙ্গী হয়ে উঠবেন? ভাল প্রেমিক বা ভাল স্বামী হয়ে ওঠাটা কোনও 'রকেট সায়েন্স' নয়। কী করবেন?

| Updated on: Mar 08, 2025 | 2:47 PM
আজকাল বেশিরভাগ সম্পর্কই যেন তাসের ঘরের মতো হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই তৈরি হচ্ছে আবার এই ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ জুড়ে নারীদের সম্মান, অধিকার নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়ালেও তারাই বাড়িতে গিয়ে নিজের বাড়ির মা-স্ত্রী বা প্রেমিকাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিত ভুলে যান।

আজকাল বেশিরভাগ সম্পর্কই যেন তাসের ঘরের মতো হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই তৈরি হচ্ছে আবার এই ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ জুড়ে নারীদের সম্মান, অধিকার নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়ালেও তারাই বাড়িতে গিয়ে নিজের বাড়ির মা-স্ত্রী বা প্রেমিকাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকুও দিত ভুলে যান।

1 / 9
ভারত তথা গোটা বিশ্বেও এখনও নারী নির্যাতনের ঘটনা উঠে আসে প্রতি মুহূর্তে। আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারী দিবস। একদিন কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেমে দাবি ছিনিয়ে এনে ইতিহাস গড়েছিল একদল সাহসী মহিলা। তাঁদের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েই প্রত্যেক বছর ৮ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস। তবে নারীদের অধিকার, সম্মান রক্ষার দায়িত্ব কি একা মহিলাদেরই? না বরং, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে সর্বত্র প্রাপ্যটুকু তাঁদের দেওয়া পুরুষেরও দায়।

ভারত তথা গোটা বিশ্বেও এখনও নারী নির্যাতনের ঘটনা উঠে আসে প্রতি মুহূর্তে। আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারী দিবস। একদিন কর্মক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে নেমে দাবি ছিনিয়ে এনে ইতিহাস গড়েছিল একদল সাহসী মহিলা। তাঁদের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েই প্রত্যেক বছর ৮ মার্চ পালিত হয় বিশ্ব নারী দিবস। তবে নারীদের অধিকার, সম্মান রক্ষার দায়িত্ব কি একা মহিলাদেরই? না বরং, সমাজে, কর্মক্ষেত্রে, বাড়িতে সর্বত্র প্রাপ্যটুকু তাঁদের দেওয়া পুরুষেরও দায়।

2 / 9
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে অনেক সময় পুরুষরা নিজের মা-বোনের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন, সেটাই পালটে যায় নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকার ক্ষেত্রে। কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন ইতিবাচক আবার কিছু ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত নেতিবাচক। এই নারী দিবসে পুরুষ হিসাবে আপনিও বরং একটা অঙ্গীকার করুন। প্রতিটা দিন আপনার পরিচিত নারীদের জন্য নারী দিবস হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে অনেক সময় পুরুষরা নিজের মা-বোনের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন, সেটাই পালটে যায় নিজের স্ত্রী বা প্রেমিকার ক্ষেত্রে। কিছু ক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন ইতিবাচক আবার কিছু ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত নেতিবাচক। এই নারী দিবসে পুরুষ হিসাবে আপনিও বরং একটা অঙ্গীকার করুন। প্রতিটা দিন আপনার পরিচিত নারীদের জন্য নারী দিবস হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার।

3 / 9
তাঁদের জন্য প্রতিটা দিন আরও ভাল করে তোলার অঙ্গীকার। সেই বদল সম্ভব নিজের আচরণ-ব্যবহারের পরিবর্তনের মাধ্যমেই। কী ভাবে আরও ভাল সঙ্গী উঠবেন? ভাল প্রেমিক বা ভাল স্বামী হয়ে ওঠাটা কোনও 'রকেট সায়েন্স' নয়। কী করবেন?

তাঁদের জন্য প্রতিটা দিন আরও ভাল করে তোলার অঙ্গীকার। সেই বদল সম্ভব নিজের আচরণ-ব্যবহারের পরিবর্তনের মাধ্যমেই। কী ভাবে আরও ভাল সঙ্গী উঠবেন? ভাল প্রেমিক বা ভাল স্বামী হয়ে ওঠাটা কোনও 'রকেট সায়েন্স' নয়। কী করবেন?

4 / 9
সঙ্গীর কথা শুনুন - সঙ্গী কী বলছে তা মন দিয়ে শুনুন। তাঁর কথা বোঝার চেষ্টা করুন। দরকার পড়লে নিজের প্রেমিকার স্থানে নিজেকে বসিয়ে দেখুন, আপনি ওই পরিস্থিতিতে পড়লে কী করতেন? যদি কোনও বিষয়ে মতের অমিল হয়, তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। একেবারে অস্বীকার করবেন না। মনে রাখবেন, অনেক সমস্যার সমাধান নারীরা নিজেই করতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা শুধু নিজের মনের মানুষটিকে নিজের পাশে দেখতে চায়, তাঁকে উপলব্ধি করান 'আপনি আছেন'। নারীরা নিজের মনের কথা সবার কাছে বলতে পারে না, তাই আপনার প্রিয় মানুষটার জন্য ভাল শ্রোতা হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

সঙ্গীর কথা শুনুন - সঙ্গী কী বলছে তা মন দিয়ে শুনুন। তাঁর কথা বোঝার চেষ্টা করুন। দরকার পড়লে নিজের প্রেমিকার স্থানে নিজেকে বসিয়ে দেখুন, আপনি ওই পরিস্থিতিতে পড়লে কী করতেন? যদি কোনও বিষয়ে মতের অমিল হয়, তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনা করুন। একেবারে অস্বীকার করবেন না। মনে রাখবেন, অনেক সমস্যার সমাধান নারীরা নিজেই করতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা শুধু নিজের মনের মানুষটিকে নিজের পাশে দেখতে চায়, তাঁকে উপলব্ধি করান 'আপনি আছেন'। নারীরা নিজের মনের কথা সবার কাছে বলতে পারে না, তাই আপনার প্রিয় মানুষটার জন্য ভাল শ্রোতা হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

5 / 9
অসম্মান করবেন না - ভালবাসা, প্রেমের থেকেও অনেক উপরে সম্মান। যে সম্পর্কে সম্মান থাকে না, সেই সম্পর্কে ভালবাসাও থাকে না। তা সে প্রণয় হোক বা পিতা-মাতার সম্পর্ক। তাই নিজের সঙ্গীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখুন। সকলের সামনে মজা করার নাম করে তাঁর, অসম্মান করবেন না। যদি সঙ্গীর কোনও আচরণ আপনার খারাপ লাগে তাহলে তা নিয়ে রাস্তা ঘাটে বা সকলেত্র সামনে রিয়াক্ট না করে আলাদা করে কথা বলুন। সেখানেও কখনও লাগামছাড়া হবেন না। মনে রাখবেন 'শব্দ ব্রহ্ম'। তাই ঝগড়া হলেও কী কথা বলছেন তা ভেবে নেবেন। কারণ কাঁচে একবার চিড় ধরলে তা কিন্তু আর কোনওদিন ঠিক করা যায় না। দাগ থেকেই যায়।

অসম্মান করবেন না - ভালবাসা, প্রেমের থেকেও অনেক উপরে সম্মান। যে সম্পর্কে সম্মান থাকে না, সেই সম্পর্কে ভালবাসাও থাকে না। তা সে প্রণয় হোক বা পিতা-মাতার সম্পর্ক। তাই নিজের সঙ্গীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখুন। সকলের সামনে মজা করার নাম করে তাঁর, অসম্মান করবেন না। যদি সঙ্গীর কোনও আচরণ আপনার খারাপ লাগে তাহলে তা নিয়ে রাস্তা ঘাটে বা সকলেত্র সামনে রিয়াক্ট না করে আলাদা করে কথা বলুন। সেখানেও কখনও লাগামছাড়া হবেন না। মনে রাখবেন 'শব্দ ব্রহ্ম'। তাই ঝগড়া হলেও কী কথা বলছেন তা ভেবে নেবেন। কারণ কাঁচে একবার চিড় ধরলে তা কিন্তু আর কোনওদিন ঠিক করা যায় না। দাগ থেকেই যায়।

6 / 9
সিদ্ধান্তের ভাগীদার করুন - নিজের জীবন হোক বা সংসারের কোনও সিদ্ধান্ত, ছোট-বড় সব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পরিবেশ গড়ে তুলুন। নিজের সঙ্গীকে বোঝান সে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিকা হোক বা স্ত্রী তাঁকে নিজের গুরত্ব দিতে শিখুন। এমন একটা পরিবেশ গড়ে তুলুন নিজেদের মধ্যে যাতে আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে সুরক্ষিত বোধ করে। সেটা কিন্তু খুব গুরত্বপূর্ণ।

সিদ্ধান্তের ভাগীদার করুন - নিজের জীবন হোক বা সংসারের কোনও সিদ্ধান্ত, ছোট-বড় সব বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পরিবেশ গড়ে তুলুন। নিজের সঙ্গীকে বোঝান সে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমিকা হোক বা স্ত্রী তাঁকে নিজের গুরত্ব দিতে শিখুন। এমন একটা পরিবেশ গড়ে তুলুন নিজেদের মধ্যে যাতে আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে সুরক্ষিত বোধ করে। সেটা কিন্তু খুব গুরত্বপূর্ণ।

7 / 9
অহংকার ত্যাগ করুন - মনে রাখবেন কারও মধ্যে 'আমিত্ব' বেড়ে যায়, তাহলে তা পতনের শুরু। কখনও নিজেদের সম্পর্কের থেকে নিজের 'ইগো'কে বড় হতে দেবেন না। অহংকাত পতনের মূল। মতের অমিল হলে, তা আলোচনার মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করুন। 'আমি কেন আগে যাব', 'আমি কেন মাথা নোয়াব' এমন ভাববেন না। মনে রাখবেন ক্ষমা চাইলে আর ক্ষমা করে দিলে কেউ ছোট হয় না।

অহংকার ত্যাগ করুন - মনে রাখবেন কারও মধ্যে 'আমিত্ব' বেড়ে যায়, তাহলে তা পতনের শুরু। কখনও নিজেদের সম্পর্কের থেকে নিজের 'ইগো'কে বড় হতে দেবেন না। অহংকাত পতনের মূল। মতের অমিল হলে, তা আলোচনার মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করুন। 'আমি কেন আগে যাব', 'আমি কেন মাথা নোয়াব' এমন ভাববেন না। মনে রাখবেন ক্ষমা চাইলে আর ক্ষমা করে দিলে কেউ ছোট হয় না।

8 / 9
সর্বোপরি একজন ভাল মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রত্যেক মানুষের একটা নিজস্ব স্বত্বা আছে। আপনার যেমন নিজস্ব ভাবনা চিন্তা রয়েছে, আপনার সঙ্গীরও তেমন নিজস্ব স্বত্বা আছে। সেটাকে গুরুত্ব দিন। তাহলেই দেখবেন সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠছে।  (সব ছবি - Meta AI)

সর্বোপরি একজন ভাল মানুষ হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। প্রত্যেক মানুষের একটা নিজস্ব স্বত্বা আছে। আপনার যেমন নিজস্ব ভাবনা চিন্তা রয়েছে, আপনার সঙ্গীরও তেমন নিজস্ব স্বত্বা আছে। সেটাকে গুরুত্ব দিন। তাহলেই দেখবেন সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠছে। (সব ছবি - Meta AI)

9 / 9
Follow Us: