ফ্রিজে আদা-রসুন রাখা যায় না। শুকিয়ে যায়। নাহলে আদা-রসুনের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আর এখন তাপমাত্রা যে হারে বেড়ে চলেছে, তাতে ফ্রিজের বাইরে আদা রাখলেও শুকিয়ে যাচ্ছে। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে ফ্রিজে রাখা যায়। কিন্তু আদা কীভাবে সংরক্ষণ করবেন?
বেশিরভাগ রাঁধুনিরা মনে করেন, খোলা জায়গায় ঝুড়িতে রেখে দিলে আদা-রসুন ভাল থাকে। কিন্তু এখন যে পরিমাণ গরম পড়েছে তাতে শুকিয়ে যাচ্ছে আদা-রসুন। যদিও রসুনকে আপনি নানা উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। দেখে নিন আদা সংরক্ষণের সহজ উপায়।
আদা কেনার সময় সচেতন থাকুন। তাজা বা টাটকা আদা দেখে কিনুন। ভারী ও বড় আকারের আদা কিনুন। আদা ছোট টুকরো ছাড়াতে ও সংরক্ষণ করা ঝামেলার কাজ। তাই কেনার সময় খেয়াল রাখুন।
কাগজের ব্যাগে আপনি আদা সংরক্ষণ করতে পারেন। কাগজের ব্যাগে আদা ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এতে আদা আর্দ্রতার সংস্পর্শে আসে না। এবং আদা দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাজা থাকে। কাগজের ব্যাগের বদলে আপনি কাগজের টিস্যুতে মুড়েও আদা রাখতে পারেন।
আদাকে তাজা রাখতে আপনি জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। জিপলক ব্যাগে আদা রেখে এটি থেকে বাতাস বের করে দিন। এভাবে আদা রাখলে এক মাসের বেশি এটি তাজা থাকবে।
আদার খোসা ছাড়িয়ে নিন। তারপর সেটা ভিনিগারে ডুবিয়ে রেখে দিন। অ্যাসিডিক তরলে আদা রাখলে তার গন্ধ ও স্বাদ দুটোই বজায় থাকে। আদা ভিনিগার থেকে বের করে ৩-৪ বার জলে ধুয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন।
আদার খোসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে নিন। কিমার মতো করে কুচিয়ে নিন আদা। তারপর সেটা একটি ট্রেতে রেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমাট বাঁধতে দিন। তারপর ওই হিমায়িত আদা টুকরো টুকরো করে এয়ার-টাইট জারে ভরে রাখুন।
তাজা আদা কুচিয়ে ফেলুন। তারপর সেটা পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। এরপর আদার কুচিগুলো খোলা হাওয়ায় শুকিয়ে নিন। এছাড়া আপনি শুকনো কাপড়েও মুছে নিতে পারেন। এরপর শুকনো আদাগুলো এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রাখুন।