
আগামীকাল জন্মাষ্টমী। এই দিনেই দ্বাপর যুগে সংসারে অধর্মের বিনাশ করে ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে মথুরার যাদব বংশে জন্ম নেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ।

কথিত কেউ যদি এই জন্মাষ্টমীতে উপবাস পালন করে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন, তা হলে তাঁকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না। এমনকি পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। আবার বিশ্বাস ভক্তিভরে এই দিনে শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করলে দূরে হয় প্রেমের বাধাও।

তবে কেবল উপবাস করে পুজো করলেই তো আর হল না। গোপালকে পুজো করার আগে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়মকানুন। তবেই কিন্তু মিলবে মন মতো ফল। তাই চট করে দেখে নিন জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের নিয়মকানুন।

জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ খেতে হবে। সংযম পালন করতে হবে, রাত ১২টার মধ্যেই কিন্তু খেয়ে নিতে হবে। শুতে যাওয়ার আগে ভাল করে হাত, পা, মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত উপোস করতে পারলে ভাল। এই দিন হরিনাম জপ, কৃষ্ণ লীলা, হরিনাম কীর্তন করতে পারলে ভাল। ভগবানকে অভিষেক করে একাদশীর দিনের মতোই অনুকল্প প্রসাদ সেবন করতে হবে।

শরীর খারাপ হলে বা শরীরে কোনও সমস্যা থাকলে দুপুর ১২ টার পরে আপনার গপালের কাছে ক্ষমা চেয়ে একটু দুধ, বা ফল খেতে পারেন। মনে রাখবেন এই ব্রতে একাদশীর মতো অন্ন-সহ পঞ্চ রবি শস্য খাওয়ার চল নেই।

জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ দিয়ে পারণ করবেন।

পারণ আরম্ভ এবং শেষের সময় এই মন্ত্র জপ করুন। পারণ আরম্ভের মন্ত্র: "সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।" পারণান্তে মন্ত্র: "ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।"