গরমের দিন মানেই বাজার জুড়ে আম-জাম-কাঁঠালের মেলা। মাত্র এই কয়েকটা দিনই বাজারে ওঠে এই সব ফল। আর তাই অপেক্ষাও থাকে বছরভর। জ্যোষ্ঠ-আষাঢ়ের যে কোনও পুজো পার্বণেও জাম থাকে প্রসাদে।
জামের উপকারিতা অনেক। বিশেষত সুগার রোগীদের জন্য জাম খুব ভাল। রোজ ৬ টা করে জাম খেতে পারলে খুবই ভাল। তবে এই বছর বাজারে জামের দাম বেশ চড়া। চাইলেই রোজ খাওয়ার উপায় নেই। আর তাই এই সিজনে একদিন জাম দিয়েই বানিয়ে ফেলুন সুন্দর এই লুচি।
শুনে অবাক হচ্ছেন যে জামের লুচি কী ভাবে হবে। সাধারণত নুন মাখিয়েই জাম খাওয়া হয়। এছাড়াও অনেকে রস করে খান। তবে লুচি বানিয়ে ফেলুন এই ভাবে। ফুটন্ত জলে জামগুলো কিছুক্ষণ রেখে তুলে নিন। ১ মিনিট মত রাখলেই হবে। এরপর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন।
এরপর বীজ ছাড়িয়ে জামগুলোর শাঁস হাত দিয়ে পিষে নিন। সুগার রোগীদের জন্য জাম খুবই উপকারী। জাম দিয়েই এবার বানিয়ে নিন লুচি।
সামান্য নুন-চিনি দিয়ে জামের এই শাঁস মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণে এক চামচ সাদা তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে এক চামচ ময়দা মিশিয়ে মেখে নিন।
যদি ময়দা এড়িয়ে যেতে চান তাহলে আটা-ময়দা মিশিয়েও খেতে পারেন। জল ছাড়া জামের শাঁস দিয়ে লুচির জন্য ময়দা মেখে নিন। মাখার উপরই নির্ভর করছে কেমন লুচি হবে।
এবার ছোট ছোট লেচি কেটে লুচি বেলে নিন। এই লুচি ছোট খেতেই ভাল লাগে। সুগারের রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারবেন। আর স্বাদও হবে সুন্দর।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূর হয় এই জামের লুচিতে। সেই সঙ্গে দেখতেও লাগে দারুণ। জামের এই লুচি একদম কষা হয় না। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন। এই লুচির সঙ্গে অন্য কোনও কিছুই লাগে না।
এবার ভাবছেন এই লুচি কীসের সঙ্গে খাবেন? এর সঙ্গে সব থেকে ভাল লাগে পাকা আম। পাকা আম, জল ঝরানো টকদই, ভাজা জিরে গুঁড়ো আর সামান্য নুন মিশিয়ে রায়তা বানিয়ে নিতে পারেন। এতে খেতেও লাগে দারুণ।