
শীতের শুরুতে বাজারে এসেছে প্রচুর আমলকী। এখন যে পরিমাণ আমলকী পাওয়া যায় তা আর অন্য সময় পাওয়া যায় না। আমলকী রোদে শুকিয়ে অনেকেই মুখশুদ্ধি বানান

এছাড়াও আমলকী পাতলা পাতলা করে কেটে নুন, লঙ্কাগুঁড়ো মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখুন। তিন-চারদিন এভাবে রোদ খাওয়ালে আমলকী খুবই ভাল খেতে লাগে

আমলকীর জুসও শরীরের জন্য খুব ভাল। শীতের দিনে রোজ সকালে এই জুস এককাপ করে খেলে অনেক উপকার পাবেন। তবে আমলকী এভাবে বানিয়ে অনেকদিন পর্যন্ত স্টোর করতে পারেন

আমলকী ভাল করে ধুয়ে শুকনো করে মুছুন। এবার গ্রেটারে আমলকী কুরে নিতে হবে। শুকনো কড়াইতে এক চামচ পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে

হালকা রং ধরলে এতে হাফ চামচ ধনে গুঁড়ো, জিরে, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। আঁচ কমিয়ে ভেজে নিয়ে দেড়বাটি গুঁড়ো করা গুড় এতে দিতে হবে

গুড় গলে আসলে গ্রেট করে রাখা আমলকী এতে মিশিয়ে নিন। এবার এতে স্বাদমতো নুন মিশিয়ে দিন। গুড় মাপ করে দেবেন, কারণ গুড় বেশি দিলে তবেই তা খেতে ভাল হবে

গুড় খুব ভাল করে পাক করে নিতে হবে। একদম শুকনো হয়ে এলে তারপর নামিয়ে নিন। কড়াইতে ছড়িয়ে ঠান্ডা করে তবেই কাঁচের কোনও জারে সংরক্ষণ করুন। মাধেমধ্যে রোদে দিতে ভুলবেন না

তৈরি আমলকীর মিষ্টি আচার। ভাত খেয়ে শেষপাতে এই আচার খেতে দারুণ লাগে। এই আচার খেলে হজম ভাল হয় সেই সঙ্গে মুখও ছাড়ে। তাই দেরী না করে বানিয়ে নিন ঝটপট