হেয়ার অয়েলে এই ৬ উপাদান থাকলেই আপনি হয়ে উঠবেন কেশবতী
Homemade Hair Oil: চুলের যত্নে তেল অপরিহার্য। নিয়মিত চুল ও স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে চুলের একাধিক সমস্যা কমে যায়। বাজারচলতি একাধিক হেয়ার অয়েল ছেড়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বাড়িতে তেল বানিয়ে ফেলুন। এই ৬ প্রাকৃতিক উপাদান একসঙ্গে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হেয়ার অয়েল।
চুলের যত্নে তেল অপরিহার্য। নিয়মিত চুল ও স্ক্যাল্পে তেল মালিশ করলে চুলের একাধিক সমস্যা কমে যায়। বাজারচলতি একাধিক হেয়ার অয়েল ছেড়ে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে বাড়িতে তেল বানিয়ে ফেলুন।
বাড়িতে হেয়ার অয়েল বানানোর জন্য প্রয়োজন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, জবা ফুল ও পাতা, আমলকি এবং নিম পাতা। এই ৬ উপাদান একসঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি হেয়ার অয়েল।
নারকেল তেল চুলের যত্নে অপরিহার্য। এটি চুলকে আর্দ্রতা জোগায়, নতুন চুল গজাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের মধ্যে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড স্ক্যাল্প ও চুলের যত্নে বিশেষ সাহায্য করে।
উড়ো চুলের সমস্যাকে বশ মানায় অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। অলিভ অয়েল মাখলে চুল নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
স্প্লিটএন্ডের সমস্যা এক নিমেষে দূর করে ক্যাস্টর অয়েল। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করে ক্যাস্টর অয়েল। এই তেল স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা জোগায়। এই তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমবে এবং চুল ঘন হবে।
জবা ফুল ও পাতার মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুল পড়া কমায় এবং চুলে আর্দ্রতা জোগায়।
আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তেলের মধ্যে আমলকির গুণাগুণ থাকলে এটি চুলকে অকালপক্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। এতে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে, যা খুশকির হাত থেকে রক্ষা করে।
নিম পাতা খুশকির সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। এতে যেমন স্বাস্থ্যকর চুল গঠন হয়, তেমনই ফ্রিজিনেস দূর হয়। তাই এই ৬ উপাদান দিয়ে হেয়ার অয়েল বানিয়ে রোজ ব্যবহার করুন।