
শীতকাল মানেই বাজারে আসে হরেক সবজি সেই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো থাকেই। বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইস, চিকেন, বিরিয়ানি এসব চলতেই থাকে। এই সময় পিকনিক, নিমন্ত্রণ এসব অনেক বেশি থাকে। যে কারণে খাওয়া লেগে থাকে

আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব মোটে ২ মাস। তাও যে খুব জাঁকিয়ে শীত পড়ে এমনটা একেবারেই নয়। তবে আবহাওয়া ভাল থাকার কারণে এই সময় হজমও ভাল হয়। তবে শীতের বাজারে প্রচুর রঙিন সবজি পাওয়া যায়

এছাড়াও শীতে অনেক রকম ফল পাওয়া যায়। এই সব রঙিন সবজি আর ফল শরীরের জন্য খুব ভা। শীতের দিনে এই সবজি শরীরের জন্যেও খুব ভাল। কড়াইতে ২ চামচ সাদা তেল গরম করে ওর মধ্যে ছোট করে কাটা পনিরের টুকরো দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে

পনির ভেজে নিয়ে দুটো মাঝারি সাইজের আলু ডুমো করে কেটে ওই তেলে দিয়ে ভেজে নিতে হবে। ফলে আলুতেও সুন্দর একটা রং ধরবে। একে একে বাকি তেলের মধ্যে গাজর, বিনস, ফুলকপি ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার একটা মশলা বাটুন

মিক্সিতে কাজুবাদাম, ২ চামচ পোস্ত, ২ চামচ টকদই, আদার টুকরো, ছোট বাটিতে একটু জল দিয়ে বেটে নিতে হবে। তার আগে পোস্ত, কাজুবাদাম ইষদুষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে এক চামচ ঘি গরম করে নিন ওর মধ্যে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন

এক চামচ জিরে, গোটা গরম মশলা, থেঁতো করা ছোট এলাচ, জয়িত্রী দিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে। এবার ওতে গোটা গোলমরিচ, হাফ চামচ শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো আর পোস্তবাটা টা মিশিয়ে দিতে হবে। ভাল করে মশলা নেড়ে নিন

২০০ গ্রাম কড়াইশুঁটি মশলার সঙ্গে নাড়িয়ে স্বাদমতো নুন দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লেই বুঝতে হবে মশলা তৈরি হয়ে এসেছে। এবার ভাজা সবজি মশলার সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মশলা ধোওয়া জল এবার এই তরকারিতে মিশিয়ে নিন। এক চামচ চিনি মিশিয়ে নিন

সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার এতে এক চামচ গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তা ফুটে এলে এক চামচ কসৌরি মেথি ছড়িয়ে দিন। তৈরি সম্পূর্ণ নিরামিষ মিক্সড ভেজ। একদম অনুষ্ঠান বাড়ির মত খেতে হবে