Home Decor Tips: পুজোর আগে ঘর সাজাবেন? ভরসা রাখুন বাংলার জিআই ট্যাগ পাওয়া এই সব জিনিসে
Home Decor Tips: জানেন এমন ৫ উপকরণ আছে যেগুলি এই মাটির নিজের, এমনকি সেগুলিতে জিআই ট্যাগ রয়েছে বাংলার। এই বছর ঘর সাজানোয় না হয় সেগুলি ব্যবহার করলেন। জানেন সেগুলি কী কী?
1 / 8
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই শুরু হচ্ছে দেবীপক্ষ। কলকাতা তথা বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দুর্গাপুজো যেন চলেই এল। আর পুজোর আগে শুরু হয় ঘর পরিষ্কার করার ধুম। তার সঙ্গে একটু নতুন করে আবার সাজিয়ে নেওয়া ভালবাসার বাসাটিকে।
2 / 8
ঘর সাজাতে অনেকে অনেক রকম উপায় বেছে নেন। কেউ হয়তো পুজোর আগে একবার ঘরে রং করিয়ে নেন। কেউ আবার বদল আনেন ঘরের আসবাবে। কেউ ভরসা রাখেন ঘর সাজানোর নানা নতুন নতুন সামগ্রীতে।
3 / 8
তবে আপনিও যদি ঘর সাজানোর সামগ্রী কেনার কথা ভাবেন তাহলে আর বিদেশি কায়দার জিনিস নয় বরং এই বছর ভরসা রাখুন বাংলার নিজের জিনিসেই। জানেন এমন ৫ উপকরণ আছে যেগুলি এই মাটির নিজের, এমনকি সেগুলিতে জিআই ট্যাগ রয়েছে বাংলার। এই বছর ঘ্র সাজানোয় না হয় সেগুলি ব্যবহার করলেন। জানেন সেগুলি কী কী?
4 / 8
পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ - ছৌনাচের খ্যাতি দেশজুড়ে। নৃতশিল্পীরা যে বড় বড় মুখোশ পরে নাচেন, তা-ও কিন্তু জিআই ট্যাগ প্রাপ্ত। অনেকেই এই অভিনব মুখোশ দিয়ে ঘর সাজাতেও ভালবাসেন। আবার জিআই-প্রাপ্ত মুখোশের তালিকায় রয়েছে কুশমন্ডির কাঠের মুখোশও।
5 / 8
পটচিত্র - পিংলা বা পুরুলিয়ার পটচিত্র বিশ্বখ্যাত। ছবির মাধ্যমে লম্বা কাগজে গল্প বলে এই শিল্প। নানা লোককথা কিংবা পুরাণের গল্প ফুটে ওঠে পটশিল্পীদের তুলীতে। বেশির ভাগই প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করা হয়। কাগজ ছাড়াও এই ধরনের ছবি এখন পোশাক কিংবা বাসনপত্রেও আঁকা হয় সাজিয়ে রাখার জন্য। পটচিত্রের চাহিদা রয়েছে দেশের বাইরেও। হস্তশিল্প মেলা কিংবা আরও সাধারণ মেলাতেও এই শিল্পীরা এসে তাঁদের কাজের পসরা মেলে বসেন। আবার এখন অনেক দোকানেও পুরুলিয়া থেকে এই জিনিসের আমদানি করা হয়। ঘর সাজানোর সামগ্রীর বাজারে এই পটচিত্রের বেশ কদর রয়েছে। আপনিও কিন্তু আপনার ঘরে একটা পটচিত্র রাখতেই পারেন।
6 / 8
টেরাকোটার কাজ - বাঁকুড়ার টেরাকটার কাজ সারা জগৎ বিখ্যাত। যাঁরা এ জেলায় ঘুরতে যান, ঘর সাজানোর জন্য বা কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য বাঁকুড়ার ঘোড়া কিনে আনেন। তবে আপনার ঘর সাজানোর জন্য বাঁকুড়া যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কলকাতার একাধিক জায়গায় বাঁকুড়া থেকে টেরাকোটার কাজের জিনিস আমদানী করা হয়। ২০১৮ সালে এই শিল্প জিআই ট্যাগ পেয়েছিল।
7 / 8
ডোকরার সাজ - ডোকরার নানা রকম মূর্তি বা দেওয়াল-শিল্প দিয়ে ঘর সাজানো অনেকেরই প্রথম পছন্দ। বিভিন্ন মেলা, নিউ মার্কেট বা শহরের নানা উপহারের দোকানে, বুটিকে এই ডোকারার ঘর সাজানোর জিনিস আপনি পেয়ে যাবেন। ডোকরার গয়না পরার বেশ চল রয়েছে মহিলাদের মধ্যে। এই পুজোয় নিজের মনের মানুষকে ডোকরার গয়না কিন্তু উপহার দিতেই পারেন।
8 / 8
নকশী কাঁথা - কবি জসীমউদ্দিনের 'নকশি কাঁথার মাঠ' মনে আছে? বাংলার যত হস্তশিল্প জিআই ট্যাগ পেয়েছে, তার মধ্যে প্রথম এই নকশী কাঁথা। ২০০৮ সালে এই শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বীরভূমের অনেক অঞ্চলে এই ধরনের কাজ দেখা যায়। সাধারণ কাঁথার চেয়ে এই কারুকার্য অনেক বেশি জটিল। সূক্ষ্ম সুতোর কাজে নানা ধরনের গল্প ফুটে ওঠে এক একটা কাঁথায়। ফুল-পাতা-পশু-পাখি ছাড়াও নানা ধরনের লোকগল্প দেখা যায় এই কাজে। শাড়ি থেকে ঘর সাজাবার সামগ্রী সবই তৈরি করেন শিল্পীরা তাঁদের নিখুঁত হাতের ছোঁয়ায়। চাইলে আপনিও ভরসা করে দেখতে পারেন। কিনে আনতে পারেন কোনও 'ওয়াল হ্যাংগিং'।